জি-২০ নৈশভোজে যোগ দিতে মমতা যাচ্ছেন দিল্লিতে, দেখা হবে শেখ হাসিনার সঙ্গে
ভারত নাম নিয়ে বিতর্কের মধ্যে কড়া ভাষায় কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করলেও, রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণে আগামী শনিবার দিল্লি যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও তাঁর দেখা হবে।
শেখ হাসিনার সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এককভাবে বৈঠকের পরিকল্পনা করেছেন। তাই শেখ হাসিনার সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মূর দেওয়া নৈশভোজে তাঁদের দেখা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে।
আগামী শনিবার থেকে দিল্লিতে শুরু হচ্ছে শিল্পোন্নত ও বিকাশমান অর্থনীতির জোট জি-২০-এর শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনের প্রথম দিন সন্ধ্যায় রাষ্ট্রপতি মুর্মূর নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র থেকেই ভারতের নাম নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। আমন্ত্রণপত্রে প্রথা অনুযায়ী ‘প্রেসিডেন্ট অব ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে লেখা ছিল ‘প্রেসিডেন্ট অব ভারত’। সেই আমন্ত্রণপত্র পান মমতাও। এরপরেই তিনি রাজ্য সরকারের একটি অনুষ্ঠানে ভারতের নাম নিয়ে কেন্দ্র সরকারের কড়া সমালোচনা করেন গত মঙ্গলবার।
ইন্ডিয়া ও ভারতের তফাত কী, দাঁতন করতে করতে যা বলেছিলেন লালু প্রসাদ যাদব
মমতা বলেন, ‘এখন তো ইন্ডিয়ার নাম পরিবর্তন করে দিচ্ছে শুনলাম। মাননীয় রাষ্ট্রপতির নামে যে কার্ড হয়েছে, জি-২০-এর নৈশভোজের জন্য, তাতে লেখা আছে ভারত। আরে…ভারত তো আমরা বলিই, এতে নতুনত্ব কি আছে? ইংরেজিতে বলি ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান কনস্টিটিউশন। আর হিন্দিতে বলে ‘ভারত কা সমবিধান (সংবিধান)’। ভারত তো আমরাও জানি। মনে নেই (গান) ‘ভারত আমার ভারতবর্ষ স্বদেশ আমার স্বপ্ন গো’।
মমতা আরও বলেন, ‘নতুন করে কিছু বলার নেই, কিন্তু ইন্ডিয়ার নামটা সারা বিশ্বে চেনে। হঠাৎ এমনকি হলো যে দেশের নামও পরিবর্তন হয়ে যাবে? কবি ঠাকুরের (রবীন্দ্রনাথ) নামও কবে পাল্টে যাবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর নাম সব পরিবর্তন করে দিচ্ছে। বড় বড় ঐতিহাসিক সৌধ – তার নামও পরিবর্তন করে দিচ্ছে। ইতিহাসকেই পরিবর্তন করে দিচ্ছে।’
এই বক্তব্যের পরে আজ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে জানানো হয়, রাষ্ট্রপতির নৈশভোজে অংশ নিতে শনিবার দুপুরে দিল্লি যাবেন মমতা। পরদিন আবার কলকাতায় ফিরে ১২ সেপ্টেম্বর ইউরোপের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি।