এক ওভারে চারবার স্টেডিয়ামের বাইরে বল পাঠালেন পোলার্ড
একই ম্যাচে একই দলের হয়ে যদি ব্যাটে-বলে জ্বলে ওঠেন নিকোলাস পুরান, কায়রন পোলার্ড, আন্দ্রে রাসেল, সুনীল নারিন ও ডোয়েন ব্র্যাভো, তাহলে ফলাফল কী হতে পারে, তা অনুমান করার জন্য ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না। বাস্তবিকই চলতি সিপিএলে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের হয়ে একসঙ্গে দুর্দান্ত ক্রিকেট উপহার দিলেন পাঁচ ক্যারিবিয়ান তারকা। ফলে নাইট রাইডার্সকে জয় নিয়ে বিশেষ ভাবতে হয়নি।
ওয়ার্নার পার্কে লিগের ১২তম ম্যাচে সম্মুখসমরে নামে সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস প্যাট্রিয়টস ও ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সেন্ট কিটস। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৮ রানের চ্যালেঞ্জিং ইনিংস গড়ে তোলে।
ক্যাপ্টেন শেরফান রাদারফোর্ড ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ৩টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৩৫ বলে। ডোয়াইন ব্র্যাভোর শেষ ওভারে ৩টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন রাদারফোর্ড।
এছাড়া আন্দ্রে ফ্লেচার ৩টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ১৭ বলে ৩২ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ২১ বলে ৩০ রানের কার্যকরী অবদান রাখেন করবিন বশ। এভিন লুইস ১০ ও জোশুয়া দা’ সিলভা ১৮ রান করে মাঠ ছাড়েন।
নাইট রাইডার্সের হয়ে ৪ ওভারে ২৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন সুনীল নারিন। ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করলেও একজোড়া উইকেট পকেটে ভরেন ডোয়াইন ব্র্যাভো। রাসেল ৩ ওভারে ২০ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ঝড়ের গতিতে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নাইট রাইডার্স। তারা ১৭.১ ওভারে ৪ উইকেটের বিনিময়ে ১৮০ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ১৭ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেট রান-রেট বেশ কিছুটা বাড়িয়ে রাখে টিকেআর।
নিকোলাস পুরান ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৬১ রানের ধ্বংসাত্মক ইনিংস খেলেন। তিনি ৪টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২৭ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১৬ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। ইজহার উল হক নাভিদের এক ওভারে ৪টি ছক্কা মারেন তিনি। চারটি ছক্কাতেই বল চলে যায় স্টেডিয়ামের বাইরে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চারটি ছক্কাতেই বল অতিক্রম করে যায় ১০০ মিটারেরও বেশি দূরত্ব।
এছাড়া ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৮ বলে ২৩ রান করে নট-আউট থাকেন রাসেল। ৩টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৩১ বলে ৩৬ রানের যোগদান রাখেন লরকান টাকার। সেন্ট কিটসের করবিন বশ ৩ ওভার বল করে ২২ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট দখল করেন ব্লেসিং মুজারাবানি। ম্যাচ সেরা হন পুরান। চলতি ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে ৩ ম্যাচে মাঠে নেমে এই প্রথম জয়ের মুখ দেখল নাইট রাইডার্স। যদিও তাদের ১টি ম্যাচ মাঝপথেই ভেস্তে যায়।