Home জেলা রাজনীতি জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল: নানক
Ogos ২৫, ২০২৩

জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল: নানক

জবি প্রতিনিধি: স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজিত হানাদার বাহিনীর পক্ষে প্রতিশোধ পরায়ণ হয়ে জিয়ার নেতৃত্বে ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল। কারণ বঙ্গবন্ধু হত্যায় জিয়া সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক।
তৌকির আহমেদ, জবি প্রতিনিধি:  বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাখা ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি ছয়জন ছাত্রদল সন্ত্রাসী অস্ত্রসহ ধরা পড়েছে। বর্তমান সময়ে দেশকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে ফেলার জন্য তারা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এ ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে, যাতে সাধারণ জনগণের কোনো ক্ষতি না হয়।’
নানক বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকন্যাকে হত্যার জন্য ১৫ আগস্টের ধারাবাহিকতায় খালেদা জিয়ার নির্দেশে এবং তারেক জিয়ার পরিকল্পনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়েছিল। ১৬ কোটি মানুষ বিশ্বাস করে খালেদা জিয়ার নির্দেশে ২১ আগস্টের মূল পরিকল্পনাকারী তারেক জিয়া। সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে অমানবিকভাবে গুলি চালানো হয়।
তিনি আরো বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়িত্বপালন করা মাওলানা তাজউদ্দিনকে রাতের বেলা পাসপোর্ট করে বাংলাদেশ থেকে নিরাপদে পাকিস্তানে সরিয়ে দিয়েছে। তৎকালীন বিএনপি সরকারের রাষ্ট্রীয় মদদে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার আলামত নষ্ট করা হয়েছিল। এখন তারেক রহমানের বক্তব্য হয়ে গেছে- ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে সপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রসঙ্গ টেনে নানক বলেন, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৭০’র নির্বাচন পর্যন্ত কোনো আন্দোলনেই জিয়া ছিলেন না। ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মধ্য দিয়ে ঘাতক জিয়া সৃষ্টি হয়। তার চেয়ে বড় কথা বিকৃত ইতিহাসের মধ্য দিয়েই জিয়ার আবির্ভাব হয়।
অনুষ্ঠানের প্রধান বক্তা হিসেবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন, ‘১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু ব্যক্তি মুজিব হত্যা নয়। খুনি জিয়া গংদের মূল উদ্দেশ্য ছিল আমাদের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস এবং বাঙ্গালী জাতির যে বৈষম্যহীন সমাজব্যবস্থা তা ধ্বংস করা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যার সুদৃঢ় নেতৃত্বে আমরা এখন সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে অনেক উন্নত।’
এ ছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব ও সমাপনী বক্তব্য রাখেন শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. ইব্রাহীম ফরাজী।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আকতার হোসাইনের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের আইন সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী নজিবুল্লাহ হিরু, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *