Home সারাদেশ ঝুকিপূর্ণ সেতুতে যান চলাচল, দেখার কেউ নাই
Ogos ২৫, ২০২৩

ঝুকিপূর্ণ সেতুতে যান চলাচল, দেখার কেউ নাই

সোহেল রানা চৌধুরী গোয়ালন্দ প্রতিনিধি: 
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের তেনাপচা খালের সেতুর এক পাশ দুই বছর আগে দেবে গেছে। ওই সেতু দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলছে যানবাহন।
২০২১ সালের অক্টোবরের শেষের দিকে সেতুর নিচের মাটি সরে এক পাশ দেবে যায়। পরে যান চলাচল বন্ধে নির্দেশনাও দেয় স্থানীয় প্রশাসন। কিন্তু যান চলাচল বন্ধ হয়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০২-২০০৩ অর্থবছরে দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে তেনাপচা খালের ওপর প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ মিটার দৈর্ঘ্যের বক্স কালভার্ট বা ছোট সেতু নির্মাণ করা হয়।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুটির মাঝ বরাবর ও এক পাশ দেবে গেছে। দুই পাশের মাটি সরে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন, মানুষ চলাচল করছে।
দেবে যাওয়া সেতুতে যান চলাচল, দুর্ঘটনার শঙ্কা
বাকিতে চা না দেওয়ায় দোকানদারকে খুন!
স্থানীয় বাসিন্দা হোসেন আলি বলেন, ‘খাল পাড় ভেঙে যাওয়ায় আমাদের বাড়িঘর থাকছে না। দীর্ঘদিন হলো সেতুটি দেবে গেছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটবে। সেই সঙ্গে আমাদের ঘরবাড়ি ভেঙে যাবে।’
স্থানীয় অটোরিকশাচালক হারুনার রশিদ বলেন, ‘আর কত দিন আমরা যাত্রী নিয়ে এভাবে ঝুঁকিতে ভাঙা সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল করব? কয়েকদিন আগে সেতু পার হতে গিয়ে এক ঝালমুড়ি বিক্রেতা নিচে পড়ে গেছেন। আমরা এখন নিরুপায় হয়ে গেছি। সেতুটি নতুন করে তৈরি করা হলে আমরা দুঃশ্চিন্তামুক্ত হব।’
দেবগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুল ইসলাম বলেন, ‘বর্ষাকালে প্রচণ্ড বেগে পানি প্রবাহিত হওয়ায় পাশের মাটি ধসে সেতুটি দেবে গেছে। দুর্ঘটনার ঝুঁকি থাকায় দুই বছর আগে থেকেই ভারী যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। হালকা যান ও পথচারী চলাচল অব্যাহত থাকায় যেকোনো মুহূর্তে সেতুটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
এ বিষয়ে গোয়ালন্দ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের
(এলজিইডি) প্রকৌশলী বজলুর রহমান খান বলেন, ‘সেতুটির ব্যাপারে আমরা পিডি মহোদয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। কাগজপত্রও পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে সেতুটির কাজ আমরা করব।’

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *