ময়মনসিংহ সদর ৪ আসনে সংসদ সদস্যের নামে বরাদ্দকৃত অর্থের সদর উপজেলাধীন ৯নং খাগডহর ইউনিয়নে ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তৃতীয় পর্যায়ের বিশেষ বরাদ্দ, কাবিখা, কাবিটা,ও টি আর প্রকল্পের বরাদ্দ ৫ টি প্রকল্পের আওতায় ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা কাজ না করে আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
স্হানীয় প্রকল্প সভাপতিগন জানিয়েছেন, উক্ত টাকা উত্তোলন করে, স্হানীয় কথিপয় জাপা নেতা কে দেয়া হয়েছে। এমন প্রকল্পও রয়েছে প্রকল্প সভাপতি জানেনই না তার নামে প্রকল্প বরাদ্দ হয়েছে এবং টাকা উত্তোলন হয়েছে!
স্হানীয় লোকজন ২০২২-২০২৩ তৃতীয় পর্যায়ের বিশেষ বরাদ্দে কাজ না হওয়ায় প্রকল্প গুলো উল্লেখ করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ, মির্জাপুর আব্দুলের বাড়ি হতে নাসিরের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও প্রকল্প সভাপতি কোন কাজ করেনি। অথচ বিল উত্তোলন করেছেন।
বাহাদুরপুর হারুনের বাড়ি হতে আপেলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারে ১ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও প্রকল্প সভাপতি উক্ত টাকা উত্তোলন করেন। স্হানীয়রা জানান, এক ছটাক মাটিরও কাজ করা হয়নি এখনও। মির্জাপুর সুমনের দোকান হতে মানিকের দোকান পর্যন্ত ইট চলিং এর কাজে ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ দিলেও মাত্র ৩০ গজ রাস্তার কাজ হয়েছে। উক্ত প্রকল্প সভাপতি সমুদয় বিল উত্তোলন করেছেন।
মির্জাপুরে শাজাহান মাস্টারের বাড়ি হতে ইটের চলিং এর ১০ টন চালের কাজ না করে ই বরাদ্দের চাল উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেন। মির্জাপুর কাঞ্চনের বাড়ির সামনের রাস্তা ২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ নিলেও কোন কাজ না করে ই টাকা উত্তোলন করেন প্রকল্প সভাপতি আত্মসাৎ করেছেন। ৫ টি প্রকল্পে ১০ লাখ ৮০ হাজার টাকা কাজ না করে ই প্রকল্প সভাপতিগন আত্মসাৎ করেন।
এ ব্যাপারে প্রকল্প সভাপতিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের মধ্যে কেহ কেহ জানান, টাকা উত্তোলন করে নেতাদের কে দেয়া হয়েছে! এদের মধ্যে জাপা নেতা জনৈক হারুনের নাম উল্লেখ যোগ্য! প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা অজ্ঞাত কারণে প্রকল্প তদারকি না করায় এ সকল প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ লুটপাট হয় বলে স্হানীয়রা জানান।