খাগড়াছড়িতে বন্যার্তদের জন্য ৫৫০ টন খাদ্যশস্য ও ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ
তাজু কান্তি দে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়িতে টানা ভারী বর্ষণে বন্যায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ১৫ হাজার পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়ে। এ দূর্যোগ মোকাবেলায় বন্যার্তদের জন্য মোকাবেলায় ৫৫০ মেট্রিকটন খাদ্যশস্য এবং ১৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খাগড়াছড়ি সদরে ৯০ টন, দীঘিনালায় ৮০, মহালছড়িতে ৬০, মানিকছড়িতে ৬০, গুইমারায় ৬০, মাটিরাঙ্গায় ৫০, পানছড়ি ৫০, রামগড় ৫০ এবং লক্ষ্মীছড়ি উপজেলায় ৫০ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এসব উপজেলার মধ্যে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে খাগড়াছড়ি সদর এবং দীঘিনালা উপজেলা। সদরের বন্যায় আক্রান্ত এলাকার পানি নেমে গেলেও দীঘিনালার মেরুং এলাকার অনেক জায়গা এখনো পানিতে তলিয়ে আছে। বাড়ি-ঘরে ফিরতে পারছেনা শত শত পরিবার। তারা সবাই এখনো আশ্রয় কেন্দ্রেই অবস্থান করছেন।
বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) খাগড়াছড়ি সদর এবং দীঘিনালায় ২২৫০ টি পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাগড়াছড়ি সংসদ সদস্য ও ট্রাস্কফোর্স চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান উপস্থিত থেকে খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নের বন্যার্ত এলাকায় এসব খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেন। উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় সরকারের পাশাপাশি সেখানে প্রায় ২২০ পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ এবং চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছে দীঘিনালা সেনা জোন। দীঘিনালা জোনের উপ অধিনায়ক মেজর নূর হাফিজ ইসলাম উপস্থিত থেকে তা বিতরণ করেন। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি এবং বিভিন্ন প্রকারের মসলা ছিল।
গত বুধবার (২ আগস্ট) থেকে টানা বর্ষণে চেঙ্গী ও মাইনী নদীর পানি বেড়ে গিয়ে ঘরবাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বিভিন্ন অফিসে ঢুকে পড়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিকে বন্যায় প্লাবিত বিষয়ে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরাফাতুল আলম জানান, ‘বন্যায় মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী ইউনিয়নের নাগরিকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখানে অনেক রাস্তা-ঘাট, কালভার্ট ভেঙে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে বিতরণের জন্য ইতোমধ্যে ৫টি ইউনিয়নে ১৫ মেট্টিকটন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন অনুযায়ী ধীরে ধীরে বরাদ্ধের পরিমাণ বাড়ানো হবে।’
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘দূর্যোগ মোকাবেলায় খাগড়াছড়িতে ৫৫০ টন খাদ্যশস্য এবং ১৪ লাখ ৫০ হাজার নগদ অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন হলে বরাদ্দ আরও বাড়ানো হবে। বৃহস্পতিবার কিছু এলাকায় এমপি মহোদয়কে সাথে নিয়ে আমরা পানিবন্দী অনেক পরিবারের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করেছি। এছাড়াও বন্যায় আক্রান্ত কিছু এলাকায় পানি নেমে গেলেও অনেক এলাকায় পানি অপরিবর্তিত রয়েছে। সব মিলিয়ে প্রশাসন তৎপর রয়েছে। আমাদের লোকজন মাঠে থেকে কাজ করছে।