হারিয়ে যাওয়া পুলিশ কর্মকর্তার ৮ লাখ টাকা ফেরত দিলেন টমটম চালক।
তাজু কান্তি দে খাগড়াছড়ি জেলা প্রতিনিধিঃ হারিয়ে যাওয়া ৮ লক্ষ টাকা পেয়ে তা মালিক খুঁজে বের করে ফেরৎ দিয়ে সততার প্রমাণ দিলেন খাগড়াছড়ির অটো/ইজিবাইক (টমটম) চালক শাহারিয়ার খান উল্লাস!
চলুন এ ভাইকে ধন্যবাদ জানাই তার এই সৎকর্মের জন্য। এতে অন্যান্যরাও উৎসাহিত হবে। ভালো কাজে এগিয়ে আসবে।
চট্টগ্রাম আরআরএফ এর কর্মরত পুলিশের এএসআই বিতু চাকমা, তিনি বাড়ি তৈরী করার উদ্দেশ্যে জিপিএফ থেকে আট (০৮) লক্ষ টাকা লোন তোলে রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার নিজ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হন।
আজ ২৬-০৭-২০২৩ ইংরেজি, সকাল ১০.৫০ ঘটিকার সময় খাগড়াছড়ি নারকেল বাগানস্থ জিয়া ভাস্কর্য থেকে অটো চালক শাহারিয়ার এর অটোতে উটেন ন্যান্সি বাজার (দিঘীনালা স্টেশন) এর উদ্দেশ্য। ১১.০০ ঘটিকায় ন্যান্সি বাজার স্টেশনে অটো থেকে নামেন এবং সঙ্গে থাকা মালামাল নামান, কিন্তু সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ নামাতে ভুলে যান।
এএসআই বিতু চাকমার হঠাৎ মনে পড়ে টাকার ব্যাগের কথা, ততক্ষণে অটো চালক যাত্রী নামিয়ে দিয়ে চলে যান। বিতু চাকমা ন্যান্সি বাজার ডিউটিতে থাকা পুলিশ সদস্যদের কাছে এসে বিষয়টা জানালে পুলিশ সদস্যরা পুলিশ কন্টোল রুমে জানান। কন্টোল রুম থেকে জানানো হয় এএসআই বিতু চাকমাকে সদর থানায় প্রেরণ করতে। পুলিশ সদস্যরা বিতু চাকমাকে সদর থানায় প্রেরণ করেন।
হারানোর টিক ৪০ মিনিট পর, ১১.৪০ ঘটিকায় অটো ড্রাইভার মোহাম্মদ শাহারিয়ার খান উল্লাস টাকার ব্যাগ নিয়ে হাজির হন ন্যান্সি বাজার ঘটনাস্থলে। সাথে সাথে ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা খবর দেয় টাকা হারানো মালিক এএসআই বিতু চাকমাকে।
অটো ড্রাইভার ও পুলিশ সদস্যরা জনতার সামনে হারানো টাকা বুঝিয়ে দেয় বিতু চাকমাকে।
এএসআই বিতু চাকমা খুশি হয়ে ড্রাইভার ও পুলিশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ড্রাইভারকে খুশি হয়ে টাকা দিতে চাইলে তিনি নিতে অস্বীকৃতি জানান।
অটো ড্রাইভার এত টাকার লোভ সামলিয়ে আট (০৮) লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার মাধ্যমে সততার পরিচয় দেন। ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ড্রাইভারকে ধন্যবাদ জানান।