শুধু সাসপেন্ড নয়, তাদের চাকরিই থাকার কথা না-হাইকোর্ট
ছিনতাই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে থাকা আসামি ও তাদের স্বজনদের ওপর নির্যাতন চালিয়ে ৭২ লাখ টাকা আদায়ের ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আদালত।
জামিন নেওয়ার পরও কীভাবে রিমান্ড চাইতে পারে প্রশ্ন তুলে আদালত বলেন, শুধু সাসপেন্ডই (বরখাস্ত) শেষ কথা নয়, তাদের চাকরি থাকার কথা নয়। পরে আদালত শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দিয়ে আগামী ৬ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য দিন ঠিক করেন।
সোমবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো.আমিনুল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
আদালতে ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আবু মোহাম্মদ (এএম) আমিন উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।
এ ছাড়া পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাডভোকেট শাহ্ মুনজুরুল হক। আর আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুজিবুর রহমান মিয়া।
এর আগে আদালতের নির্দেশে সোমবার সকালে হাজির হন পদ্মা সেতু দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুস্তাফিজুর রহমান, শরীয়তপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল মনির এবং শরীয়তপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত ব্যাখ্যা আদালতে দাখিল করেন অ্যাটর্নি জেনারেল।
এ বিষয়ে আইনজীবী মজিবুর রহমান মিয়া জানান, আদালতে পুলিশ প্রধানের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত পুলিশের তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তখন আদালত বলেন, সাসপেন্ডই শেষ কথা নয়। পরে আদালত বিচারকের বিষয়ে নথি তলব করে ৬ আগস্ট পরবর্তী