তারুণ্যের সমাবেশকে ঘিরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পুলিশের চেকপোস্ট
ঢাকায় বিএনপির তারুণ্যের সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে একাধিক চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি করছে পুলিশ।
শনিবার (২২ জুলাই) সকাল থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মদনপুর থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত অন্তত তিনটি চেকপোস্ট দেখা গেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে ঢাকামুখী বাসসহ বিভিন্ন যানবাহন থামিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। এখানে ২৫ জন পুলিশ সদস্য তাদের দায়িত্ব পালন করছেন।
দেখা গেছে, যাত্রীবাহী বাসে উপচেপড়া যাত্রী, তরুণ বয়সী যাত্রী, মাইক্রোবাসে চেক করা হচ্ছে। কোনো যাত্রীকে সন্দেহ হলে তাকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে পথে।
বাসে যাত্রীদের ব্যাগ এবং ব্যক্তিগত গাড়ির ভেতরে তল্লাশি করতেও দেখা গেছে পুলিশ সদস্যদের। কিন্তু সড়ক কোনো যানজট সৃষ্টি হতে দেখা যায়নি।
এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এখনও কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানান পুলিশ।
চিটাগাং রোড থেকে গুলিস্তানের উদ্দেশ্যে কোমল মিনি বাসে উঠেছেন কাউছার আহমেদ। তাকে তল্লাশির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে বলেন, দোকানে যাওয়ার জন্যে চিটাগাং রোড থেকে গাড়িতে উঠেছি। মৌচাক আসতেই দেখি পুলিশ গাড়ি থামিয়ে আমাকেসহ গাড়ির সব যাত্রীদের তল্লাশি করেছেন। পরে কিছু না পেয়ে গাড়ি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
যাতায়াত পরিবহনের এক যাত্রী জানান, পুরো সড়কে আজ পুলিশের চেকপোস্ট দেখলাম। চিটাগাং রোড পার হয়ে এখানে আসতেই অন্যান্য গাড়ির মতো আমাদের গাড়িও থামিয়ে চেক করা হয়েছে। আমার সঙ্গে থাকা ব্যাগ তল্লাশি করেছেন তারা। তবে আমাদের গাড়ি থেকে কাউকে আটক করেননি।
চেকপোস্ট বসানোর কারণ জানতে চাইলে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) হাবিবুর রহমান জানান, চেকপোস্ট আমাদের রুটিন কাজ। এটি বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে নয়। আমাদের জেলা পুলিশ বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসিয়েছেন। জনগণের সড়ক যাতায়াত করতে যেন কোনো প্রকার সমস্যা না হয় সেজন্যই পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। সড়কে যাতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সে কারণে এ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।
গাড়ি থামিয়ে তল্লাশির বিষয় তিনি বলেন, আমাদের কাউকে সন্দেহ হলে তাকে তল্লাশি করছি। তবে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে না।