নুরুল হকসহ গণ অধিকারের ১৭ জনের বিরুদ্ধে ভবনমালিকের মামলা
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে পল্টন থানায় করা এ মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন শহীদুল ইসলাম ফাহিম, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, শাকিল উজ্জামান, সরকার নুরে এরশাদ সিদ্দিকী, নাদিম হাসান, মনজুর মোরশেদ, বিন ইয়ামিন মোল্লা, রবিউল ইসলাম, আমিনুল ইসলাম নুর, ফাতেমা তাসনীম, হেলেনা আক্তার, সাব্বির হোসেন, অর্ণব হোসেন, আবির ইসলাম সবুজ ও ইমরান হোসেন।
গণ অধিকার পরিষদের কার্যালয় পল্টনের প্রিতম-জামান টাওয়ারের ছয়তলায়। গণ অধিকার পরিষদে ভাঙনের আগে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক ছিলেন এই ভবনের মালিক মিয়া মশিউজ্জামান। ভাঙনের পর রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদে আগের দুটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার সকালে গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা লাগিয়ে দেন ভবনের মালিক। বিকেলে তালা ভেঙে কার্যালয়ে প্রবেশ করেন নুরুল হকসহ নেতা-কর্মীরা। পরে তাঁদের পিটিয়ে বের করে দেয় পুলিশ। ঘটনার পর পল্টন থানায় ভবনমালিক মামলাটি করেন। মামলায় ৬০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতিরও অভিযোগ করা হয়েছে।
নুরুলের নেতৃত্বাধীন গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশের নিয়ন্ত্রণে
মামলার অভিযোগে ভবনমালিক মশিউজ্জামান বলেন, ২০২২ সালের ১ মার্চ থেকে প্রিতম-জামান টাওয়ারের ষষ্ঠ তলায় ২ হাজার ৬০০ বর্গফুটের কক্ষটিকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করার চুক্তি করেন গণ অধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক। তবে তাঁরা ১৬ মাস ধরে ভাড়া পরিশোধ করেননি। অফিস ছাড়ার নোটিশ দেওয়ার পরও সেটি না ছেড়ে উল্টো নুরুল হক তা দখল করার হুমকি দিচ্ছিলেন। এ কারণে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার পর অফিসের সামনে একটি কলাপসিবল গেট লাগিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন।
তালাবদ্ধ কার্যালয়ের সামনে থেকে নুরুলদের সরিয়ে দিয়েছে পুলিশ
এজাহারে আরও বলা হয়, দুপুরে নুরুল হকের নেতৃত্বে একদল লোক এসে কলাপসিবল গেট ভাঙার চেষ্টা করেন। পুলিশ দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা দেয়। কিন্তু তাঁরা সন্ধ্যা ছয়টায় এসে কলাপসিবল গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। পরে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যান।