Home জেলা রাজনীতি ফের শোডাউন বড় দুই দলের
জুলাai ১৮, ২০২৩

ফের শোডাউন বড় দুই দলের

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতিতে। নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিপরীতমুখী অবস্থানের কারণে জনমনেও দেখা দিয়েছে নানা শঙ্কা।

এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় ও নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে সারা দেশের সাংগঠনিক মহানগর ও জেলায় আজ পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি।

এরই অংশ হিসাবে রাজধানীতে ছয় ঘণ্টাব্যাপী ১৬ কিলোমিটারের পদযাত্রা করবে দলটি। অন্যদিকে রাজধানীতে আওয়ামী লীগও বড় জমায়েতের প্রস্তুতি নিয়েছে। এদিন তারা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ এবং র‌্যালি করবে। এছাড়া ঢাকার বাইরে চার বিভাগের সব জেলা ও মহানগরে ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করবে দলটি।

উন্নয়ন তুলে ধরবে আওয়ামী লীগ

আওয়ামী লীগের ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ আজ। রাজধানীতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ সমাবেশ ও র‌্যালি অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে ঢাকার বাইরে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের সব জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ কর্মসূচি পালন করবে।

এতে আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেবেন। এর আগে ‘শান্তি সমাবেশ’ করলেও এবারই প্রথম এর সঙ্গে ‘উন্নয়ন’ শব্দ যুক্ত করে সমাবেশ করতে যাচ্ছে তারা। বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে আয়োজিত এই কর্মসূচির মধ্য দিয়ে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে ক্ষমতাসীনরা। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভাও করেছে দলটি।

সংশ্লিষ্ট নেতারা বলছেন, এসব কর্মসূচি ঘিরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি হোক সেটা তারা চান না। এ কারণে কর্মসূচি ঘিরে তাদের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। তাদের মতে, তিনটি লক্ষ্য সামনে রেখে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। আন্দোলনের নামে বিএনপিকে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না দেওয়া, নির্বাচনি প্রস্তুতি এবং সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের সব ধরনের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ জানান, বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটের সামনে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখবেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দলের কেন্দ্রীয় নেতা-মন্ত্রী এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতারা এতে অংশ নেবেন। সমাবেশের পর র‌্যালি হবে। র‌্যালি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট, শাহবাগ, এলিফ্যান্ট রোড, সিটি কলেজের রাস্তা হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসভবনে গিয়ে শেষ হবে।

গত ডিসেম্বর থেকেই নানা কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। নির্বাচনকে সামনে রেখে এবার সরকার পতনের একদফা নিয়ে মাঠে নেমেছে দলটি। এদিকে বিএনপিকে শুরু থেকেই ফাঁকা মাঠ ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। ঢাকাসহ সারা দেশে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে ছিল ক্ষমতাসীনরাও। সামনের দিনগুলোতেও বিএনপিকে রাজপথ ফাঁকা ছাড়বে না ক্ষমতাসীনরা। অতীতের ধারাবাহিকতায় নানা কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে। সর্বশেষ ১২ জুলাই ঢাকায় দেড় কিলোমিটারের ব্যবধানে দুটি পালটাপালটি বড় সমাবেশ করেছে তারা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের বাংলাদেশ সফরের মধ্যে এ পালটাপালটি সমাবেশ হয়। তবে কোনো সংঘাত বা অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, সামনের দিনগুলোতেও বিএনপির আন্দোলনে তারা সরাসরি কোনো বাধা দেবেন না। আবার ভোটের আগে বিরোধীদের একেবারে ফাঁকা মাঠেও ছাড়া হবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবেন। আবার ক্ষমতাসীন দল হিসাবে তারা চান না পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হোক। আন্দোলনের নামে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা হলে তা প্রতিহতের প্রস্তুতিও রাখা হচ্ছে। এরই অংশ হিসাবে আজ বড় ধরনের শোডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। নির্বাচন পর্যন্ত এ ধরনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির যুগান্তরকে বলেন, এই কর্মসূচি ঘিরে আমরা লক্ষাধিক লোক সমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করতে চাই। এ বিষয়ে দলের নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের সমাবেশে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎসহ সরকারের নানান উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরা হবে। নেতাকর্মীদের ব্যানার ফেস্টুনে এসব উন্নয়ন চিত্রে ছবি ও তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

বিএনপির একদফা আদায়ে পদযাত্রা

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে পদযাত্রার কর্মসূচি নিয়ে আজ প্রথম মাঠে নামছে বিএনপি। রাজধানীসহ সারা দেশের মহানগর ও জেলায় সকাল ১০টা থেকে ছয় ঘণ্টার এ কর্মসূচি পালন করবে দলটি। সর্বশক্তি দিয়ে কর্মসূচি সফল করতে নির্দেশনা দিয়েছেন হাইকমান্ড। বিশেষ করে রাজধানীতে বড় শোডাউনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এদিন গাবতলী থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার পদযাত্রা করবে তারা। সুশৃঙ্খলভাবে কর্মসূচি পালনে দলটি গঠন করেছে ‘শৃঙ্খলা টিম’। প্রতিটি থানা-ওয়ার্ডের দায়িত্বশীল নেতাদের সর্বোচ্চ নেতাকর্মী নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নিতে বলা হয়েছে। সরকার পতনে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দল ও জোটগুলোও একই কর্মসূচি পালন করবে। রাজধানীর ৯ স্পট থেকে পদযাত্রা বের করবে তারা। কর্মসূচি সফলে সমমনাদেরও রয়েছে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি।

সকাল ১০টায় গাবতলী থেকে পদযাত্রা শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। মগবাজারে যুক্ত হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ। বিএনপির রোডম্যাপ অনুযায়ী গাবতলী-টেকনিক্যাল মোড়-মিরপুর (১)-মিরপুর (১০) গোলচত্বর- কাজীপাড়া-শেওড়াপাড়া-তালতলা (আগারগাঁও)-বিজয় সরণি-কাওরান বাজার-এফডিসি-মগবাজার-মালিবাগ-কাকরাইল-নয়াপল্টন (পার্টি অফিস)- ফকিরাপুল-মতিঝিল (শাপলা চত্বর)-ইত্তেফাক মোড়-দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব বাজার মোড় (বাহাদুর পার্ক) হবে এ পদযাত্রা। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গাবতলীতে পদযাত্রার উদ্বোধন করবেন। রায়সাহেব বাজার মোড়ে সমাপনী বক্তব্য দেবেন স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, গাবতলী থেকে রায়সাহেব বাজার মোড় (বাহাদুর পার্ক) পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার হেঁটে পদযাত্রা করব। এতে অংশ নিতে নেতাকর্মীরা উন্মুখ হয়ে আছে। আশা করছি, এতে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেবেন। এ দাবি জনগণের। তাই সাধারণ জনগণও বেরিয়ে এসে পদযাত্রায় শামিল হবেন।

একদফা দাবিতে আগামীকাল (বুধবার) শুধু ঢাকা মহানগরে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। এদিন সকাল ১০টায় আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু করবে, যা যাত্রাবাড়ী (চৌরাস্তা) পর্যন্ত গিয়ে শেষ হবে। ছয় ঘণ্টার এ কর্মসূচি আব্দুল্লাহপুর থেকে শুরু করবে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি। রামপুরা ব্রিজে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি যুক্ত হবে। রোডম্যাপ অনুযায়ী আব্দুল্লাহপুর- বিমানবন্দর-কুড়িল বিশ্বরোড-নতুন বাজার-বাড্ডা-রামপুরা ব্রিজ-আবুল হোটেল-খিলগাঁও-বাসাবো-মুগদাপাড়া-সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী (চৌরাস্তা) পর্যন্ত।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালাম বলেন, ঢাকার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্ত পর্যন্ত পদযাত্রায় লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করবে। সে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

সূত্র মতে, আগামীকালের পদযাত্রা শেষে এক দফা দাবিতে ফের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা রয়েছে বিএনপির। এবার দলটি রাজধানীকেন্দ্রিক কর্মসূচির ওপর বেশি নজর দিচ্ছে। বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো পদযাত্রা সফলে নয়াপল্টনের কার্যালয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন। এসব বৈঠক থেকে অতীতের মতো শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি সফল করার ওপর জোর দেওয়া হয়। এছাড়া প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ড থেকে মিছিল সহকারে পদযাত্রায় যোগ দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এজন্য অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনগুলো বিএনপির সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে। এছাড়া মহানগরের সংসদীয় আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদেরও দুদিনের পদযাত্রায় অংশ নিতে বলা হয়েছে।

নয় স্পট থেকে পদযাত্রা করবে সমমনা দলগুলো : একই দাবিতে রাজধানীর আরও নয় স্পট থেকে পদযাত্রা বের করবে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সমমনা দল ও জোটগুলো। কর্মসূচি সফলে তারাও ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। সকাল ১১টায় মিরপুর-১২ নম্বর থেকে কর্মসূচি শুরু করবে ৬ দলীয় এই জোট। এতে জোটের শীর্ষ নেতারাও অংশ নেবেন। মঞ্চের অন্যতম নেতা বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক জানান, তাদের পদযাত্রা আগারগাঁওয়ে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। আশা করছি এতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ জনগণও অংশ নেবে। তিনি আরও জানান, বুধবারও (আগামীকাল) একই কর্মসূচি রয়েছে। দ্বিতীয় দিনে সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু করে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত পদযাত্রা হবে।

একদফা দাবিতে আজ দুপুর আড়াইটায় কাকরাইল মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করবে ১২ দলীয় জোট। মতিঝিল শাপলা চত্বর পর্যন্ত পদযাত্রা হবে। আগামীকাল বিকাল ৩টায় কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা পর্যন্ত পদযাত্রা করবে এই জোট।

একই দাবিতে সকাল ১১টায় পূর্বপান্থপথস্থ এফডিসিসংলগ্ন এলডিপির কার্যালয়ের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি)। পদযাত্রাটি মগবাজার, মালিবাগ, কাকরাইল, নয়াপল্টন হয়ে মতিঝিলে গিয়ে শেষ হবে। আগামীকাল সকাল ১১টায় রাজধানীর একই স্থান থেকে পদযাত্রা শুরু করে মগবাজার, মালিবাগ রেলগেট, খিলগাঁও হয়ে যাত্রাবাড়ী গিয়ে শেষ করবে দলটি।

দুপুর ১২টা থেকে বিজয়নগর থেকে পদযাত্রা শুরু করবে জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট। পদযাত্রাটি কাকরাইল-নয়াপল্টন-ফাকিরাপুল-মতিঝিল-ইত্তেফাক মোড়, দয়াগঞ্জ হয়ে রায়সাহেব মোড়ে গিয়ে শেষ হবে। আগামীকাল এই জোট একই কর্মসূচি পালন করবে। কমলাপুর স্টেডিয়াম থেকে পদযাত্রা শুরু করে সায়েদাবাদ হয়ে যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তায় গিয়ে শেষ করবে।

এছাড়া আজ বিকাল ৩টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে পদযাত্রা শুরু করবে ড. রেজা কিবরিয়া নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। পৃথকভাবে পদযাত্রা করবে নুরুল হক নুর নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার পরিষদ। তারা বিকাল ৪টায় পুরানা পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু করে মগবাজার, কাওরান বাজার হয়ে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন কমিশন পর্যন্ত গিয়ে শেষ করবে। সকাল সাড়ে ১০টায় পুরানা পল্টন থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলা- মতিঝিল হয়ে টিকাটুলী পর্যন্ত পদযাত্রা করবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি। গণফোরাম চত্বর থেকে বিকাল ৩টায় শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাব পর্যন্ত পদযাত্রা করবে গণফোরাম (একাংশ) ও বাংলাদেশ পিপলস পার্টি। এছাড়া সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে পদযাত্রা শুরু করে শাহবাগ হয়ে ধানমন্ডি গিয়ে শেষ করবে গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য জোট।

প্রসঙ্গত, গত ১২ জুলাই নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগে ‘একদফা’ আন্দোলনের ঘোষণা দেয় বিএনপি। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে ঘোষণা করা হয় দুদিনের পদযাত্রা কর্মসূচি। ওইদিন প্রায় একই সময়ে পৃথকভাবে সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলন করে একদফা দাবিতে অভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে সমমনা দল ও জোটগুলো। কর্মসূচির মধ্যে আজ ঢাকা মহানগরসহ সব মহানগর ও জেলায় পদযাত্রা। আগামীকাল পদযাত্রা হবে শুধু ঢাকা মহানগরীতে।

 

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *