রিট শুনানির একদিন আগেই দেশ ছাড়লেন সম্রাট
রিট শুনানির একদিন আগেই চিকিৎসার জন্য ভারত গেলেন যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট।
রোববার (১৬ জুলাই) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানির সময় এ কথা জানান তার আইনজীবী মনসুরুল হক।
শনিবার রাতে চিকিৎসার জন্য আদালতের অনুমতি নিয়েই কলকাতা গেছেন তিনি। এ সময় সম্রাট সঠিক সময়ে দেশে ফিরছেন কিনা, তা ১ আগস্টের মধ্যে জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর আগে, গত ১ জুন ঢাকার বিশেষ আদালত ৬-এর বিচারক মঞ্জুরুল আলম সম্রাটকে দুই মাসের জন্য পাসপোর্ট নিজ জিম্মায় দিয়ে চিকিৎসা করাতে এক মাসের জন্য বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেন।
২০১৯ সালের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করে দুদক। মামলায় তার বিরুদ্ধে ২ কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০২১ সালের ২৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক। অভিযোগপত্রে তার বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
এ ছাড়া অভিযোগপত্রে ২১৯ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৫০০ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, এই টাকা তিনি পাচার করেছেন। গত বছরের ২২ মার্চ অভিযোগপত্র আমলে নেন আদালত।
সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন এমন অভিযোগ র্যাবের পক্ষ থেকে আনা হয়েছিল। তাদের কাছে বিদেশি মদ থাকার কারণে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।
গ্রেপ্তারের পর সম্রাট ও আরমানকে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আনা হয়। পরে সম্রাটকে নিয়ে তার কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালায় র্যাব। সেখানে বন্য প্রাণীর চামড়া, মাদক ও অস্ত্র পাওয়ার কথা বলা হয়। বন্য প্রাণীর চামড়া রাখায় ভ্রাম্যমাণ আদালত সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন।