কাঁঠালের বীজের যত গুণাগুণ
চলছে পাকা কাঁঠালের মৌসুম। জাতীয় এই ফলটি খেতে যেমন সুমিষ্ট এবং সুস্বাদু তেমন এই ফলের বীজও অনেক মজা। কাঁঠালের বীজ ভর্তা করে, মাছ-মাংসের সঙ্গে রান্না করে অথবা শুধু ভেজেও খাওয়া যায়।
প্রোটিন, ভিটামিন ও পটাসিয়ামসমৃদ্ধ ফল কাঁঠাল গরমে শরীর সুস্থ রাখতে আদর্শ একটি ফল, তবে কম যায়না এই ফলেও বীজও। অন্যান্য ফলের বিচির তুলনায় কাঁঠালের বিচি অনেক গুরুত্বপূর্ণ পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্টার্চ, প্রোটিন, ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট।
কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন। উভয়ই ভিটামিন বি। এরা শরীরে শক্তি সঞ্চয়ের পাশাপাশি নার্ভস সিস্টেম, হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, অন্ত্র, মাংসপেশি ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
চলুন জেনে নেই কাঁঠালের বীজের আরও কিছু উপকারিতা
১. কাঁঠালের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে থায়ামিন ও রিবোফ্লাভিন। এগুলো শরীরে শক্তি সঞ্চয়ের পাশাপাশি নার্ভস সিস্টেম, হৃদ্যন্ত্র, মস্তিষ্ক, অন্ত্র, মাংসপেশি ইত্যাদির রক্ষণাবেক্ষণ করে থাকে।
২. কাঁঠালের বীজের আছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। এটি শরীরের হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং বদহজম রোধ করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে।
৩. এই বীজ আয়রনের একটি বড় উৎস। নিয়মিত এটি খেলে রক্তস্বল্পতা ও অন্যান্য রক্তরোগের ঝুঁকি দূর হয়। এছাড়া আয়রন মস্তিষ্ক ও হৃদযন্ত্র সুস্থ ও শক্তিশালী রাখতে সাহায্য করে।
৪. কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েডস, স্যাপোনিনস, ফেনোলিকস নামক অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট। গবেষণায় এসেছে যে এই উদ্ভিদ যৌগ এবং অ্যান্টি–অক্সিডেন্টগুলো শরীরের ইনফ্ল্যামেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। বাড়াতে পারে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা।
৫. এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকায় এটি শিশুদের চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে। এমনকি এটি রাতকানা রোগ দূর করতেও সাহায্য করে।
৬. কাঁঠালের বীজ প্রোটিন ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসে ঠাসা। সেজন্যই এটি মানসিক চাপ কমাতে বিশেষ কার্যকরী। এটি ত্বকের নানা রোগও সারায়।
৭. স্বাস্থ্যকর হাড়ের জন্য ক্যালসিয়াম ছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। কাঁঠালের বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে যা ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে এবং হাড় মজবুত করে।