Home দুর্ণীতি বিশ্ববাজারে আবারো বাড়ল তেলের দাম
জুলাai ১১, ২০২৩

বিশ্ববাজারে আবারো বাড়ল তেলের দাম

বিশ্বের বৃহত্তম তেল রপ্তানিকারক সৌদি আরব ও রাশিয়া সরবরাহ কমানোয় মঙ্গলবার বিশ্ববাজারে তেলের দাম বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৯২ ডলার হয়েছে। কমেছে ডলারের মূল্য। ডলারের বিনিময় হার কমার প্রভাবও জ্বালানির দামে পড়েছে। খবর রয়টার্সের। বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৩ মিনিটে ব্রেন্ট ক্রুড ফিউচারের দাম ২৩ সেন্ট বেড়ে ব্যারেলপ্রতি ৭৭ দশমিক ৯২ ডলার হয়েছে। সেই সঙ্গে ইউএস ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট ক্রুড ৩২ সেন্ট বেড়ে পৌঁছেছে ৭৩ দশমিক ৩১ ডলারে।

এছাড়া চীনের জ্বালানি চাহিদা বাড়লে তেলের দাম আরও বাড়বে। এ সপ্তাহে বাজারে তেলের চাহিদা পরিমাপ করার জন্য ইউএস কনজ্যুমার প্রাইজ ইনডেক্সের তথ্য ও চীনের অর্থনৈতিক প্রতিবেদনের দিকে তাকিয়ে আছেন বিনিয়োগকারীরা।

বিশ্লেষকরা মনে করেন, জ্বালানি ব্যবসায়ীরা আগের ক্ষতি পোষানোর জন্য সরবরাহ কমিয়ে দাম বাড়ানোর এ কৌশল নিয়েছেন। তবে সৌদি আরব যতই চেষ্টা করুক না কেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম ব্যারেলপ্রতি ৮০ ডলারের ওপরে উঠবে না।

আগস্টে বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব ও রাশিয়া সরবরাহ কমাবে- এ খবরে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে। সেই সঙ্গে ডলারের বিনিময় হার কমার কারণে আমদানিকারী দেশগুলোয় তেলের চাহিদা বেড়ে যায়।

সৌদি আরব গত সপ্তাহে বলেছে, দৈনিক ১০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের যে সিদ্ধান্ত তারা নিয়েছে, তা অন্তত আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত চালিয়ে নেওয়া হবে। এছাড়া রাশিয়া আগামী মাস থেকে দিনে পাঁচ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন হ্রাসের ঘোষণা দেয়।

বিশ্লেষক এডওয়ার্ড ময়া রয়টার্সকে বলেন, বর্তমানে তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা বিনষ্টের কারণ হলো- যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতির হার বাড়লে যদি দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক ফেডারেল রিজার্ভ আবারো নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে দেশটিকে মন্দার দিকে নিয়ে যায়, তাহলেই কেবল তা হতে পারে।

যদিও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মূল্যস্ফীতির রাশ টানতে ফেডারেল রিজার্ভ আবারো নীতি সুদহার বাড়াতে পারে। তা সত্ত্বেও অনেক কর্মকর্তা এতদিন যেভাবে বলেছেন অর্থাৎ নীতি সুদহার বৃদ্ধির চক্র শেষ হয়ে আসছে, সেই কথা থেকে বাজার কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *