বিশেষ করে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন, যেখান থেকে দেখা যায় খাগড়াছড়ির পুরো শহরটাকে, দেখা যায় মনমুগ্ধকর আঁকা বাঁকা চেঙ্গী নদী। আরো কতকিছু। সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষনে টানে বদলে যাওয়া আলুটিলা ও আলুটিলার ব্যতিক্রমী ব্রিজ। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণায় প্রাণ জুড়ে যায় পর্যটকদের।
শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ হটিকালচার পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়াভিরাম মায়াবিনী লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়বিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়, দেবতাপুকুর, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ী কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পানছড়ির অরণ্য কুঠির।
সাধারনত বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ঘেরা খাগড়াছড়িতে পর্যটকের দেখা মিললেও এবারের ঈদের এই লম্বা ছুটিতেও আশানুরুপ পর্যটকের দেখা নেই। খাগড়াছড়ির অধিকাংশ আবাসিক হোটেল-মোটেল খালি পড়ে আছে। তবে আবাসিক হোটেলগুলোতে তেমন ভিড় না থাকলেও খাবারের দোকান, রেস্তোরাঁ ও পর্যটনকেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের আনাগোনা চোখে পড়ার মতো।
পার্বত্য যানবাহন মালিক সমিতির সভাপতি নির্নিমেষ দেওয়ান বলেন, প্রতি বছর ঈদের ছুটিতে আমাদের লাইনের গাড়ি দুইশ থেকে তিনশটি পর্যটক নিয়ে যায়বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে। আর এ বছর সমিতির আওতাধীন ৫০টির বেশি গাড়ি চলাচল করছে না। এভাবে পর্যটক না আসলে গাড়ির মালিক এবং চালকেরা না খেয়ে থাকবে।