কারগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির মৃত্যু
গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আমিরুল ইসলাম (৩৪) নামে এক কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার ভোর পৌনে ৫টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আমিরুল নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার মধ্যম চেঙ্গা গ্রামের নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
কারা সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ওই কয়েদি কারগারের ভেতরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় তাকে অন্য কয়েদিরা দেখে ফেলেন। পরে আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে দ্রুত গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ভোর পৌনে ৫টার দিকে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা বলেন, আমিরুলকে ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট কুমিল্লা কারাগার থেকে কাশিমপুর কারগারে আনা হয়। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে হাতিয়ায় একটি মামলা হয়। ওই মামলায় ২০১৪ সালে তাকে মৃত্যুদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
তিনি আরও বলেন, ওই কয়েদি রাত সাড়ে ৩টার দিকে কারাগারের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে আমরা তাকে উদ্ধার করে রাতেই হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান ৷ মৃত্যুর পর তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। কারাবিধি শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।