Home দুর্ণীতি উন্নয়নে চক্ষুশূল হয়েছি, মানবাধিকার-গণতন্ত্র ভাঁওতাবাজি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জুলাai ৮, ২০২৩

উন্নয়নে চক্ষুশূল হয়েছি, মানবাধিকার-গণতন্ত্র ভাঁওতাবাজি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, দ্রুত উন্নয়নের কারণে আমরা অনেকের চক্ষুশূল হয়ে গেছি। মানবাধিকার, গণতন্ত্র, গুম এগুলা সব ভাঁওতাবাজি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।  শনিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ডিক্যাব টকে অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বিভিন্ন দেশেই মানুষ হারিয়ে যায়, আবার ফিরে আসে। তারা বলে আমাদের দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হয়। অথচ আয়নায় নিজেদের চেহারা দেখে না।

ড. মোমেন বলেন, আমাদের রন্ধ্রে রন্ধ্রে গণতন্ত্র ও মানবাধিকার রয়েছে। পৃথিবীর কোনো দেশে এত মানুষ গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য জীবন দেয়নি। বিদেশিদের এটা জানা উচিত।

তিনি আরও বলেন, বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা দেশে আসেন দুই দেশের সম্পর্ক উন্নয়ন করতে। কিন্তু অনেক সময় তারা এমন সব কথা বলেন, যা অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের শামিল।

বিদেশিদের কাছে গিয়ে দেশের বিষয়ে প্রশ্ন করা বেখাপ্পা দেখায় উল্লেখ করে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে এমপি ও মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি আগে রাষ্ট্রদূত ছিলাম। কিন্তু কোন দেশে তাদের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে প্রশ্ন করিনি। বাংলাদেশে বিদেশি রাষ্ট্রদূতের এসব কাজ নয়।

সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকার অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দুই-একটা রাজনৈতিক দল না আসলেও বেশিরভাগ দলই নির্বাচনে আসে। আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য অনেক পদক্ষেপ নিয়েছি। সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিদেশিদের নিজের দিকে তাকানো উচিত। আমেরিকায় সন্ত্রাসী দল নির্বাচন করতে পারে না। আমাদের দেশে সন্ত্রাসী দল থাকতে পারে, তারা না আসলে কিছু যায় আসে না।

গত কয়েক বছরে দু-একটি বাদে সবকটি নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বুলেন, ভবিষ্যতেও আমরা স্বচ্ছ নির্বাচন করব। তবে স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য সব দল-মতের ইচ্ছা ও প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে। নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণের দিক থেকে উন্নত দেশের থেকে বাংলাদেশ এগিয়ে। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপের দেশগুলোতে ২৬-৩০ শতাংশ মানুষ ভোট দেয়। আমাদের দেশে ৭০ ভাগ মানুষ ভোট দেয়।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অতীতে সংলাপ করে কোনো লাভ হয়নি। তবে ভালো প্রস্তাব হলে আলোচনা হতে পারে। বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। দেশের ভেতরে জনগণের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনা অবশ্যই হতে পারে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *