যে কারণে টঙ্গীতে শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
গাজীপুরের টঙ্গীতে এক শ্রমিক নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার রাতে টঙ্গীর সাতাইশ বাগানবাড়ি এলাকার প্রিন্স জ্যাকার্ড সোয়েটার লিমিটেড নামক কারখানায়। খবর পেয়ে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করেছে।নিহত শ্রমিক নেতা শহিদুল ইসলাম (৫০)। তিনি বাংলাদেশ গার্মেন্টস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের গাজীপুর জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
শ্রমিকরা জানান, কারখানার প্রায় সাড়ে ৭৫০ শ্রমিকের বকেয়া বেতনভাতা রোববার পরিশোধের কথা ছিল। কিন্তু রাত ৮টা পর্যন্ত শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করা না হলে তারা উত্তেজিত হয়ে ওঠে। একপর্যায়ে রোববার রাতে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা কারখানায় যান। এ সময় মালিকপক্ষের লোকজনের সঙ্গে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে শহিদুল ও তার সহযোগীদের একটি কক্ষে আটকে রেখে বেদম মারধর করা হয়। একপর্যায়ে কারখানার শ্রমিকরা আহতাবস্থায় শহিদুলকে উদ্ধার করে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকার তায়রুন্নেসা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে কারখানার মালিক হাজী সাইফুদ্দিনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেননি।
এ ব্যাপারে টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, হাসপাতাল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। তবে এটি হত্যাকাণ্ড না অন্য কিছু তা এখনই বলা যাচ্ছে না। তদন্তসাপেক্ষে এর রহস্য উদ্ঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।