শামিনকে গ্রেফতারে জঙ্গি দমনের বড় অধ্যায়ের অবসান সিটিটিসি
পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম তথা সিটিটিসির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান মনে করছেন, জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার প্রতিষ্ঠাতা শামিন মাহফুজকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রে একটি বড় অধ্যায়ের অবসান হলো।
শনিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মত দেন। এর আগে শুক্রবার শামিনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, এ নিয়ে শামিন তিনবার গ্রেফতার হলেন। ‘শুক্রবার গ্রেফতারের সময় তার কাছে একটি বিদেশি পিস্তল, আইডির ডেটোনেটর, জেল এক্সপ্লোসিভসহ বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়,’ বলেন আসাদুজ্জামান।
সিটিটিসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে যাওয়ার পর বন্দি থাকা নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবি, হুজি, আনসার আল ইসলামের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে শামীনের সখ্য গড়ে ওঠে। ২০১৮ সালে জামিনে মুক্তি পেয়েই শামিন তার সংগঠনের কার্যক্রম শুরু করে। ২০২২ সালের শুরুতে পাহাড়ে ‘জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া প্রতিষ্ঠা করেন তিনি।
শামিনের কাছ থেকে উদ্ধার করা মোবাইল এবং ল্যাপটপে বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে জানিয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, শামিনের সঙ্গে তার স্ত্রীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। তার স্ত্রী আগে আনসার আল ইসলামের প্রধান নেতা ইজাজ কারগিলের স্ত্রী ছিল।
শামিনের স্ত্রী নতুন জঙ্গি সংগঠনের নারী শাখার সক্রিয় সদস্য বলে সিটিটিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সিটিটিসির প্রধান বলেন, শামিনকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে আরও তথ্য পেলে পরবর্তীতে সংবাদ সম্মেলন করে তা জানানো হবে।