Home বিশ্ব নিখোজ সাবমেরিনে হয়েছিল বিস্ফোরণ, কেউ বেঁচে নেই
জুন ২৩, ২০২৩

নিখোজ সাবমেরিনে হয়েছিল বিস্ফোরণ, কেউ বেঁচে নেই

অনলাইন ডেস্ক: নিখোঁজ সাবমেরিন টাইটানে বিস্ফোরণ হয়েছিল এবং সাবমেরিনের সব যাত্রী নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কোস্টগার্ড। ১৮ জুন সাগরের তলদেশে থাকা টাইটানিক জাহাজ দেখতে যাবার পর থেকেই নিখোঁজ ছিল ক্ষুদ্র ওই পর্যটক সাবমেরিনটি।

যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ডের রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২২ জুন) বোস্টন শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন।

রিয়ার অ্যাডমিরাল জন মুগে জানান, টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের কাছেই সাবমেরিনের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পান তারা। সেখানে টাইটানের পাঁচটি বড় অংশ পাওয়া যায়। ওইসব অংশ দেখে ধারণা করা হচ্ছে, পানির নিচে যাওয়ার পর এতে বিস্ফোরণ হয়েছিল।

উদ্ধার অভিযান শুরুর সময় বিস্ফোরণ বা এ জাতীয় কোনো কিছু শনাক্ত করা যায়নি, এছাড়া ঠিক কখন বিস্ফোরণ হয়েছিল তাও এখনো জানা যায়নি বলে জানিয়েছেন কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা।

কোস্টগার্ডের এ কর্মকর্তা আরও জানিয়েছেন, টাইটানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গিয়েছিল টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষের ১ হাজার ৬০০ ফুট দূরে। যার মধ্যে রয়েছে— টাইটানের সামনের নাকের অংশ, কাঠামোর বাইরের অংশ এবং বড় একটি ধ্বংসস্তূপ।

নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হবে কিনা, এটি এখনই বলা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা। কারণ বর্তমানে সেখানকার অবস্থা তেমন ভালো নয়।

যানটি নিখোঁজ হওয়ার পর সবমিলিয়ে ৭২ ঘণ্টা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

যেহেতু সাবমেরিনটির বিস্ফোরণ ও ধ্বংসাবশেষ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, তাই সেখানে থাকা উদ্ধারকারী জাহাজ ও মেডিকেল টিমকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়া হবে। তবে সাগরের তলদেশে যে ধ্বংসস্তূপ পাওয়া গেছে সেখানে তদন্ত চালাবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।

বেসরকারি সংস্থা ওশেনগেট যারা সাবমেনির টাইটান পরিচালনা করত, তারা এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যানটিতে থাকা ওশেনগেট সিইও স্টকটন রাসম, শাহজাদা দাউদ এবং তার ছেলে সুলেমান দাউদ, হামিস হার্ডিং এবং পল-হেনরি নারগোলেট সবাই এ দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।

ওশেনগেটের এ যানটিতে করে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে একেকজন যাত্রী ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার খরচ করেছিলেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *