Home ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্ব সবার জন্য ঈদপোশাক
জুন ২০, ২০২৩

সবার জন্য ঈদপোশাক

ঈদুল ফিতরের মতো পোশাক কেনার ধুম অতটা পড়ে না ঠিকই, তবু ঈদ মানে নতুন পোশাক। বলছি ঈদুল আজহার কথা। ঈদুল আজহায় কুরবানির পশু কেনা, কুরবানি করা এবং তার ভাগবণ্টন নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে সবাই। তবে অতিথি আপ্যায়ন কিংবা বেড়ানোর জন্যও রাখা হয় কিছুটা সময়।  বিশেষ করে দিনের শেষভাগে বের হওয়ার সময় বের করা যায়। ঈদের নামাজের জন্য ছেলেদের পাঞ্জাবি প্রয়োজন পড়েই। উৎসবের দিনটিতে নিজেকে বিশেষ করে তুলতে নারীরও দরকার পড়ে নতুন পোশাকের। আর শিশুর জন্যই তো ঈদের আনন্দ, তাদের একটা নতুন জামা না হলে কী হয়। লিখেছেন-হাবীবাহ্ নাসরীন

প্রয়োজন বুঝে কিনুন : ঈদুল ফিতরে কমবেশি সবার জন্যই যেহেতু পোশাক কেনা হয়েছে, তাই এখন অনেকের নতুন পোশাকের প্রয়োজন না-ও হতে পারে। তাই সবার আগে প্রয়োজনটাকে প্রাধান্য দিন। এমনও হতে পারে, আপনার ঈদুল ফিতরে কেনা পোশাক থেকেই কয়েকটি নতুন রয়ে গেছে। তাহলে সেখান থেকেই কাজ চালিয়ে নিতে পারেন ঈদুল আজহায়।

আবার যদি মনে হয়, উৎসবের জন্য নতুন পোশাক কিনবেন, তবে আপনার পছন্দসই ফ্যাশন হাউজ তো রয়েছেই। সেখানে পরিবারের সবার জন্যই কিনতে পারেন চাহিদা অনুযায়ী পোশাক।

আরামটা যেন থাকে: ঈদটা যেহেতু গরমে, তাই পোশাক কেনার ক্ষেত্রে কাপড়ের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সবচেয়ে আরামদায়ক কাপড়ের পোশাকটিই বেছে নিন এ ঈদে। কারণ, বর্ষাকাল হলেও গরমের মাত্রা কিন্তু একদমই কম নয়। তাই এ সময় সবচেয়ে ভালো হয় সুতির পোশাক কিনতে পারলে। এতে চাকচিক্য কম থাকলেও আরাম পাবেন অনেক বেশি।

অথবা লিনেন কিংবা খাদি কাপড়ও বেছে নিতে পারেন। উৎসবের আমেজ যোগ করতে একটু জমকালোভাব আনতে চাইলে বেছে নিতে পারেন মসলিন। তবে সবার আগে খেয়াল রাখুন স্বাচ্ছন্দ্যের প্রতি। নয়তো দেখতে যত সুন্দরই লাগুক, আরাম বোধ না করলে সেই পোশাক বেশিক্ষণ পরে থাকতে পারবেন না।

সবার জন্য কেনাকাটা: শিশুদের ঈদের আনন্দ বাঁধ ভেঙে যায়, যখন আপনি তাদের হাতে ঈদের নতুন পোশাক তুলে দেন। তাই শিশুর জন্য বাজেটটা সবার আগে থাকুক। ছেলে শিশু হলে পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট, ফতুয়া ইত্যাদি কিনে দিতে পারেন। মেয়ে শিশুর জন্য বেছে নেওয়ার সুযোগ আরও বেশি থাকে। কারণ, তাদের পোশাক হয় নানা ধরনের, নানা নকশার।

বৈচিত্র্যময় সেসব পোশাক থেকে উপযোগী পোশাকটি বেছে নিন। তার জন্য ফ্রক, গাউন, কামিজ, ফতুয়া ইত্যাদি বেছে নিতে পারেন। বাড়িতে বয়স্ক ব্যক্তি থাকলে শাড়ি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি কিনুন। এতে তাদের মুখেও হাসি ফুটে উঠবে। সবার জন্য কিনতে গিয়ে নিজেকে অবহেলা করবেন না। নিজেকেই নিজে উপহার দিতে শিখুন। নিজের জন্য প্রয়োজনীয় পোশাকটি কিনুন।

কোনো পোশাক পছন্দ হলে আর সামর্থ্য থাকলে কিনে ফেলুন। পরে হয়তো আর এ ইচ্ছা না-ও থাকতে পারে। তাই নিজের শখের গুরুত্ব দিন। এতে আপনার মন ভালো থাকবে। পরিবারের লোকজনের বাইরেও পরিচিত এবং আত্মীয়দের যথাসাধ্য উপহার দেওয়ার চেষ্টা করুন। এতে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক সুন্দর থাকবে। পছন্দের পোশাকটি কিনে প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া আমাদের ভালোবাসা প্রকাশের উপলক্ষ্য মাত্র। তাই ঈদ আমাদের হৃদয়ে লুকিয়ে থাকা ভালোবাসা প্রকাশের পথ খুলে দিক।

ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহা, আমরা সবাই যেন সবার হয়ে উঠতে পারি-এই হোক প্রত্যাশা। সামর্থ্য থাকুক বা না থাকুক, ভালোবাসা প্রকাশে যেন ঘাটতি না থাকে। ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরে, একতা ও সাম্যের বার্তা পৌঁছে যাক হৃদয় থেকে হৃদয়ে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *