Home কৃষি ও প্রকৃতি ধামরাইয়ে শিমচাষে কৃষকের সাফল্য
জুন ২০, ২০২৩

ধামরাইয়ে শিমচাষে কৃষকের সাফল্য

চলতি মৌসুমে শিমের চাষ করে আর্থিকভাবে বেশি লাভবান হচ্ছেন ঢাকার ধামরাইয়ের কৃষকরা। ভালো ফলন ও বেশি দামে বিক্রি করতে পারায় ভীষণ আনন্দিত কৃষকদের পরিবার। এ অঞ্চলের মাটি ও আবহাওয়া শিমচাষের জন্য বেশ উপযোগী। ফলন ভালো হওয়ায় প্রতিবছর বাড়তে শুরু করেছে শিমচাষির সংখ্যা।

ধামরাই উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর শিমচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৬৪ হেক্টর জমিতে। এই অঞ্চলে আগাম চাষের জন্য ‘বারি শিম-১’ ও ‘ঝাড় শিম’ নামের দুটি জাতের শিম চাষ করা হয়। জৈষ্ঠ্য-আষাড় মাসের দিকে শিমের বীজ বপন করেন চাষিরা।

সাধারণত বীজ বপনের ৪০-৪৫ দিনের মধ্যে শিমের লতায় ফুল আসতে শুরু করে। অতি বর্ষা না হলে প্রায় ৬ মাস স্থায়ী হয় শিমের মাচা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মাঠে ফুলে ফুলে শোভা পাচ্ছে শিমের মাচা। শিমের রুগ্ন ফুল ছাড়িয়ে ফেলা, খেতের আগাছা পরিষ্কার করা এবং কীট-পতঙ্গ প্রতিরোধসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের শিমচাষি আ. মালেক বলেন, ‘প্রায় ২০ বছর ধরে শিমের চাষ করে আসছি। কমবেশি প্রতি বছরই লাভবান হচ্ছি। এ বছরও বাজারে শিমের দাম ভালো। প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে। এ বছর ১ বিঘা জমিতে শিমচাষ করেছি। এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। শিম বিক্রি করে পেয়েছি ৪২ হাজার টাকা। আশা করছি, আরও ৩০-৪০ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারব।

একই গ্রামের শিমচাষি আ. মান্নান জানান, ২০ শতাংশ জমিতে খরচ হয়েছে ১০-১২ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ২০-২৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছি। আশা করছি, এ বছর অন্য বছরের তুলনায় বেশি লাভ হবে।

উপজেলার হাতকোড়া গ্রামের চাষি সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘১০ কাঠা জমি বর্গা নিয়া শিম বুনছি। আমার ৭-৮ হাজার টাকা খরচ হইছে। এ পর্যন্ত ২১ হাজার টাকার শিম বিক্রি করছি। আরও ১০-১৫ হাজার টাকার শিম বিক্রি করতে পারমু। শিম বিক্রি কইরা ভালোভাবেই সংসার চালাইতেছি।’

ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান বলেন, সবজির মধ্যে শিম হচ্ছে খুবই উপকারী সবজি। কারণ, এর পুষ্টিমাণ বেশি। পাশাপাশি শিম গাছের গোড়ায় নডিউল থাকে, এই নডিউলটার মধ্যে সরাসরি কিছু ব্যাকটেরিয়া আছে। যে ব্যাকটেরিয়াগুলো বাতাস থেকে নাইট্রোজেন নিয়ে নডিউলের মধ্যে জমা রাখে এবং ব্যাকটেরিয়ার জীবনকাল যখন শেষ হয়ে যায় তখন মাটির সাথে মিশে যায়। এতে একদিকে পুষ্টিমাণ বেশি থাকে, অন্যদিকে মাটির উর্বরতা শক্তি অনেক বাড়িয়ে দেয়। সে জন্য শিম একটা ভালো উপকারী সবজি হিসেবে আমাদের কাছে পরিচিত।

তিনি আরও বলেন, এ বছর শিমের প্রচুর উৎপাদন হয়েছে। যথার্থ দামে বিক্রি করতে পেয়ে কৃষকরা খুবই খুশি।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *