Home কৃষি ও প্রকৃতি পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে ভুট্টার বাম্পার ফলন
জুন ১৮, ২০২৩

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে ভুট্টার বাম্পার ফলন

চলতি বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ব্যাপক ভুট্টার চাষ হয়েছে এবং কৃষকরা কম খরচে অধিক লাভের মুখ দেখেছে। এছাড়া অন্যান্য ফসলের চেয়ে ভুট্টা আবাদে তুলনামূলক খরচ কম ও উৎপাদন বেশি।

 উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায় এ বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে তিনগুণ বেশি ভুট্টার চাষ হয়েছে এই উপজেলায়। গত বছরের মতো এবছর লক্ষ্য মাত্রা ২০০ হেক্টর ধরা হলেও ২০২২-২৩ বছরে উপজেলায় ভুট্টার চাষ হয়েছে ৫৭৫ হেক্টর জমিতে। বিশেষ করে উপজেলার পদ্মার বুকে জেগে ওঠা উজানচর ইউনিয়নের চর মাহিদাপুর, চরকর্নেশন চরাঞ্চলের ব্যাপক পরিমানে ভুট্টা আবাদ হয়েছে। এছাড়াও রিয়াজউদ্দিন পাড়া, মৃধাডাঙাসহ অন্যান্য অঞ্চলেও ভূট্রার চাষ হয়েছে। চরাঞ্চলে বন্যার পানিতে পলি জমে জমি আরো উর্বর হয়। তাই সেখানে ভুট্টার চাষ ভালো হয়।

উপজেলার চর মাহিদাপুর এলাকার কৃষক সিদ্দিক মোল্লা বলেন, চরে তিনি প্রায় পঞ্চাশ বিঘা (৩৩ শতাংশ) জমিতে ভুট্টার চাষ করেছেন। ভুট্টা চাষে খরচ কম, তাছাড়া খুব যত্ন নিতে হয় না। তাই এখানে ভূট্রার চাষ করেছি। মেশিনে ভুট্টা কাটার ফলে দ্রুত ভুট্টা কেটে ঘরে তুলতে পারছি। তাছাড়া ভুট্টার বাজার ভালো হওয়ায় সবাই লাভের মুখ দেখছে।

জেলার শ্রেষ্ঠ কৃষক উপজেলার দৌলতদিয়া ইউনিয়নের তোরাপ শেখেরপাড়া এলাকার কৃষক মো. হুমায়ুন আহমেদ ৩০ বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছিলেন। এরই মধ্যে ভুট্টা তুলতেও শুরু করেছেন। এবার মোচাগুলো বড় বড় হয়েছে, দানাও বড় ও পরিপক্ব হয়েছে বলে আশা করছেন বিঘাপ্রতি ৪০ মণেরও বেশি ভুট্টা পাবেন।

তিনি আরও বলেন, গত মৌসুমে এক বিঘা জমিতে ভুট্টা লাগিয়ে ৪০ মণ ভুট্টা পেয়েছিলাম। তাই এবার বেশি জমিতে ভুট্টা লাগিয়েছি। প্রতি বিঘায় শ্রমিকের মজুরিসহ সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বাজারে কাঁচা ভুট্টা মণপ্রতি ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা এবং শুকনা ভুট্টা মণপ্রতি ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৪০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তাই এবার শুকিয়েই ভুট্টা বিক্রি করব বলে ভেবেছি।

রাজবাড়ী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নদীর ধারে ও বিস্তীর্ণ চরের পলিমিশ্রিত জমি ভুট্টা চাষের জন্য উপযোগী। কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে সেই জমিগুলো আবাদের আওতায় আনা হয়েছে। যে কারণে এ বছর ভুট্টা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি আবাদ হয়েছে। আর ভালো ফলন পেতে আমরা কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়েছি।

উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকন উজ্জামান বলেন, গোয়ালন্দে গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ভুট্টার আবাদ হয়েছে বেশি। আগের বছর আবাদ ছিল ২০০ হেক্টরে, এ বছর তা বেড়ে ৫৭৫ হেক্টর হয়েছে। আবাদে খরচ কম ও ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *