Home দুর্ণীতি সব সমীকরণে সাফল্য দেখছে আ.লীগ
জুন ১৪, ২০২৩

সব সমীকরণে সাফল্য দেখছে আ.লীগ

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় ও জাতীয় সব সমীকরণেই আওয়ামী লীগ সাফল্য পেয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিএনপি অংশ না নেওয়ার পরও এ নির্বাচনে ৪৮.১৭ শতাংশ ভোট পড়ার হারও তাদের ‘প্রত্যাশা’র চেয়েও বেশি। সিটিতে ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ২৮২টিতে নৌকার প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক বেশি ভোট পেয়েছেন। বাকি ৭টিতে তিনি হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়ালের চেয়ে কম ভোট পেয়েছেন। কেন্দ্রে ভোটার টানতে কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন না দিয়ে উন্মুক্ত রাখা হয়েছিল। ভোটের দিন পরিবেশ শান্ত রাখা, ভোট নিয়ে মানুষের অনীহা আছে-বিএনপির এমন প্রচার ব্যর্থ করে দেওয়াসহ দলীয় কিছু কৌশল নেওয়া হয়েছিল। এর সবই খুলনা সিটির ভোটের ফলাফলে প্রতিফলন ঘটেছে। শুধু তাই নয়, বিএনপির বহিষ্কৃত ৯ ও জামায়াতের ৫ নেতাকর্মী কাউন্সিলর পদে ভোট করেছেন। তাদের মধ্যে বিএনপি ও জামায়াতের দুজন ছাড়া সবাই হেরে গেছেন। বাকি সব ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত নেতাদের অংশগ্রহণ এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে যাওয়ার ঘটনাও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক দক্ষতা ও জনপ্রিয়তার প্রতীক হিসাবে বিবেচনা করছেন দলটির নেতারা।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফলে হতবাক স্থানীয় বিএনপি নেতারা। বিএনপির নেতাকর্মীদের কেন্দ্রে না যাওয়ার যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে-তার পুরোপুরি প্রতিফলন ঘটেনি। অনেক নেতাই পছন্দের কাউন্সিলর প্রার্থীদের জন্য গোপনে কাজ করেছেন। তাদের সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে উদ্বুদ্ধ করছেন। তবুও ৪৮.১৭ শতাংশ ভোটের হার নিয়ে সংশয় আছে তাদের। দলটির নেতাদের ধারণা, সারা দিন ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে শেষ করার পর ফলাফলের কোনো একপর্যায়ে কারচুপি হয়েছে। তবে এর সঠিক কোনো প্রমাণ তারা পায়নি। ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য বলা হয়েছে। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে এসব তথ্য জানা গেছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ২৮৯টি ভোটকেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হয়। কোনো ধরনের সহিংসতা ছাড়া অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জনের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২ লাখ ৫৭ হাজার ৯৩৬ জন। এর মধ্যে নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক পেয়েছেন এক লাখ ৫৪ হাজার ৮২৫ ভোট। এ নির্বাচনে পড়া ভোটের ৬০.৪১ শতাংশই তিনি পেয়েছেন। বাকি ২৯.৫৯ শতাংশ পেয়েছেন মেয়র পদের অন্য চার প্রার্থী। তাদের মধ্যে হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলনের মো. আব্দুল আউয়াল ছাড়া বাকি তিন মেয়র প্রার্থীরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের এ ফলাফল বিএনপির ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়-তা আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছি। বিএনপি ভোটারদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছিল। মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে প্রমাণ করেছে- নির্বাচন নিয়ে তাদের অনীহা নেই, তারা বিএনপির কথা শোনেনি। আওয়ামী লীগের উন্নয়মূলক কাজে তাদের সমর্থন রয়েছে। এসএম কামাল বলেন, মেয়র পদে আমাদের প্রার্থী জিতে যাবেন-এমন আগাম ধারণা থেকে আওয়ামী লীগের কিছু নেতাকর্মী মাঠে সক্রিয় ছিলেন না। তারা সক্রিয় থাকলে আমাদের আরও ভোট বাড়ত।

নির্বাচনের ফলাফলে সাধারণ মানুষের মতামতের প্রতিফলন ঘটেনি বলে মনে করেন খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন। তিনি যুগান্তরকে বলেন, এটা কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন নয়। গণমাধ্যমের খবরে ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি দেখা যায়নি। রাতে রিটার্নিং কর্মকর্তা ভোট পড়ার যে সংখ্যা উল্লেখ করেছেন তা এলো কোত্থেকে? এই ফলাফল বিশ্বাসযোগ্য নয়। এটা ইভিএমের একটা সূক্ষ্ম কারচুপি। তিনি বলেন, দলীয় পদধারী কোনো নেতাকর্মী ভোট দিতে যাননি। সমর্থকদের স্থানীয়ভাবে প্রভাবিত করে ভোটকেন্দ্রে নেওয়ার চেষ্টা করেও খুব একটা সাফল্য পায়নি।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে এ নির্বাচন প্রেস্ট্রিজ ইস্যু হিসাবে নেয় আওয়ামী লীগ। এজন্য বেশকিছু চ্যালেঞ্জ ছিল দলটির সামনে। কেন্দ্রীয়ভাবে ওই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করে দেওয়া হয়। এর একটি হচ্ছে-কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়ানো। আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনে কমবেশি ৫০ শতাংশ ভোটার উপস্থিত করার লক্ষ্য ঠিক করেছিল। মেয়র পদে বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করা এবং তালুকদার আব্দুল খালেকের ব্যক্তিগত জনপ্রিয়তা বিবেচনায় এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি খুব কম হবে বলে শঙ্কা ছিল তাদের। ওই শঙ্কা থেকে কাউন্সিলর পদে দলের কাউকে মনোনয়ন দেয়নি দলটি। কাউন্সিলর পদ সব নেতাকর্মীর জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। এ সুযোগে প্রতিটি ওয়ার্ডে একাধিক নেতাকর্মী প্রার্থী হয়েছেন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ জন কাউন্সিলর প্রার্থীর বেশিরভাগই দলীয় নেতাকর্মী। একইভাবে ১৮, ১৯ ও ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ জন ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ জন করে কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। যাদের বেশিরভাগই সরকারি দলের নেতাকর্মী। এছাড়া ৯টি ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ও ৫টিতে জামায়াত নেতারা প্রার্থী হন। তাদের প্রচার-প্রচারণায় কোনো ধরনের বাধা দেওয়া হয়নি। ভোটের পরিবেশ নিয়ে বিএনপি-জামায়াতের এসব নেতাকর্মীর অভিযোগ ছিল না। দলীয় সরকারের অধীনে এমন পরিবেশ বজায় রাখাই বড় সফলতা বলে মনে করছে আওয়ামী লীগ। এছাড়া নির্বাচনে ৪৮.১৭ শতাংশ ভোটার কেন্দ্রে আসাও বড় জয় হিসাবে দেখছে।

ভোটার কেন্দ্রে টানতে কাউন্সিলর পদে উন্মুক্ত রাখার বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক কাজি আমিনুল হক যুগান্তরকে বলেন, বিষয়টি সেরকম নয়। ভোটারারা নিজ থেকেই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে কেন্দ্রে গেছেন। তিনি বলেন, আমরা আরও বেশি ভোট পড়বে বলে আশা করেছিলাম। কিন্তু মেয়র কে হবেন তা অনেক ভোটার আগাম ধারণা করতে পারায় তারা কেন্দ্রে আসেননি। এছাড়া অনেকেই খুলনার বাইরে চাকরিস্থলে থাকায় তারাও আসেননি। এ কারণে ভোটের ফলাফল এমন হয়েছে।

তবে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এমন পাঁচ প্রার্থী বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের সঙ্গে প্রশাসন ও আওয়ামী লীগের নেতারা যোগাযোগ রেখেছেন। সবাইকে বলা হয়েছে, যেভাবে হোক ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে হবে। কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের মধ্যে কোনো ধরনের সহিংসতায় জড়ানো যাবে না। কেউ সহিংসতায় জড়ালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক কঠোর ব্যবস্থা নেবে।

বিএনপি-জামায়াতের ১৪ নেতাকর্মীর ১২ জনই হেরেছেন : খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির নয়জন ও জামায়াতের পাঁচজন কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করেছেন। তাদের মধ্যে মাত্র দুজন কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন-সংরক্ষিত-৯ নম্বর ওয়ার্ডে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মাজেদা খাতুন। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে জামায়াতে ইসলামীর মো. শফিকুল আলম। বাকি সবাই হেরে গেছেন। হেরে যাওয়ার জন্য তারা ইভিএমকে দুষছেন। এ বিষয়ে ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী আশফাকুর রহমান কাকন যুগান্তরকে বলেন, পরপর দুবার কাউন্সিলর ছিলাম। আমার জনপ্রিয়তা আছে। তাই দল থেকে বহিষ্কার হয়েও নির্বাচন করেছি। ভোটও সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু ইভিএমে কারসাজি করে আমাকে হারানো হয়েছে। তিনি বলেন, ফলাফল ঘোষণার সময়ে এ কারসাজি করা হয়।

পাঁচ বছর আগে বিএনপির দলছুট কাউন্সিলররাও ধরাশায়ী : ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে কাউন্সিলর নির্বাচিত ৮ জন তৎকালীন সময়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। তারা এখনো আওয়ামী লীগেই আছেন। এবার নির্বাচনে অংশও নেন তারা। পাঁচ বছরের ব্যবধানে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনে তাদের ৫ জনই হেরে গেছেন। বাকি তিনজন পুনরায় কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন।

হেরে যাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন-২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সাইফুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মো. সুলতান মাহমুদ পিন্টু, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মো. ডালিম হাওলাদার, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে মো. মনিরুজ্জামান ও ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে আনিছুর রহমান বিশ্বাস। আর বিজয়ী হয়েছেন-৬ নম্বর ওয়ার্ডের শামসুদ্দিন আহমেদ প্রিন্স, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ হাফিজুর রহমান হাফিজ ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডে শেখ মো. গাউছুল আজম।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, বিএনপি থেকে আওয়ামী লীগে আসা কাউন্সিলরদের এ নির্বাচনে ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসাবে অখ্যায়িত করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিলেন আওয়ামী লীগের তৃণমূল থেকে উঠে আসা এক বা একাধিক নেতা। এ কারণে প্রকৃত আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী দলীয় নেতাদেরই ভোট দিয়েছেন। ফলে তাদের ওপর দলের ছায়া থাকার পরও পাঁচজন হেরে গেছেন।

সাত কেন্দ্রে হাতপাখার চেয়ে নৌকার ভোট কম : ২৮৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ৭টি কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের নৌকা হাতপাখা প্রতীকের চেয়ে কম ভোট পেয়েছে। নগরীর দৌলতপুর ও খালিশপুর থানায় অবস্থিত কেন্দ্রগুলো খুলনা-৩ আসনের মধ্যে; এ আসনের সংসদ-সদস্য শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়েছে। দৌলতপুর থানার যে কেন্দ্রগুলোতে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক পরাজিত হয়েছে সেই এলাকায় নগর আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের হেভিওয়েট নেতাদের বসবাস। একাধিক নেতাকর্মী জানান, এসব এলাকায় আওয়ামী লীগের কর্মী থেকে নেতার পরিমাণ বেশি। যার কারণে এমন ভরাডুবি হয়েছে। এছাড়া এ এলাকা এক সময় বিএনপির ঘাঁটি ছিল। যার কারণে এমন পরাজয় হতে পারে। সঠিক নেতৃত্ব না থাকাও একটা বড় কারণ বলে একাধিক নেতাকর্মী জানান।

নির্বাচন কমিশন সূত্র থেকে জানা যায়, সাতটি কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করেছে হাতপাখা। যার মধ্যে ৬টি কেন্দ্র নগরীর দৌলতপুর থানার ৩ ও ৪নং ওয়ার্ড এবং ১টি কেন্দ্র খালিশপুর থানার ৯নং ওয়ার্ড। এসব কেন্দ্র যাচাই করে দেখা যায়, দৌলতপুর থানার ৩নং ওয়ার্ডের ২৩নং কেন্দ্রের কার্ত্তিককুল সালেহা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (উত্তর পাশ) ভোটার ১৮৮৫। ভোট দিয়েছেন ১২০১ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৪৪৭ এবং হাতপাখা প্রতীক ৫১৭ ভোট। একই থানার ৪নং ওয়ার্ডে ৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ৫টিতে পরাজিত হয়েছে নৌকা প্রতীক। ২৫নং কেন্দ্র দেওয়ানা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় ভোটার ২২২৭। ভোট দিয়েছেন ১৪১৬ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৫৪৮ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৫৬৩। ২৭নং কেন্দ্র দেওয়ানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (পশ্চিম ও দক্ষিণ) ভোটার ২০৮৬। ভোট দিয়েছেন ১৩৪৫ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৪৬১ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৬৭৭। ২৮নং কেন্দ্র দেওয়ানা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে (পূর্ব ভবন) ভোটার ২১২৭। ভোট দিয়েছেন ১৪০০ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৫৪৪ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৬৫০। ২৯নং কেন্দ্র দেওয়ানা দক্ষিণপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটার ২১১৪। ভোট দিয়েছেন ১৪৫২ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৫০৬ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৭৯৫। ৩০নং দেওয়ানা দক্ষিণপাড়া আজিজুল মেমোরিয়াল ক্লাব ও ৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ে ভোটার ২০৯৮। ভোট দিয়েছেন ১২৮৪ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৪৮১ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৬৭৬। এছাড়া খালিশপুর থানার ৯নং ওয়ার্ডের সরকারি দৃষ্টি ও বাক-শ্রবণপ্রতিবন্ধী বিদ্যালয়ে ভোটার ২৮৫৩। ভোট দিয়েছেন ১৪৭৬ জন। নৌকা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৪৭৯ এবং হাতপাখা প্রতীক ভোট পেয়েছে ৮০৭।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *