Home ধর্মীয় সংবাদ দেশে ৬০০ মসজিদ নির্মাণ করেছে কাতার চ্যারিটি
জুন ১৪, ২০২৩

দেশে ৬০০ মসজিদ নির্মাণ করেছে কাতার চ্যারিটি

বছর দুয়েক আগেও টিনের ছাপড়া দেওয়া একটি জরাজীর্ণ মসজিদে নামাজ আদায় করতেন গাজীপুর সদর উপজেলার কালনী গ্রামের ধর্মপ্রাণ মুসুল্লীরা। রোদ-বৃষ্টিতে দুর্ভোগ পোহাতে হতো তাদের। ছিল না ভালো অযুখানা। ছিল না বাথরুমও। অথচ এখন সেখানে দৃষ্টি নন্দন মসজিদ শোভা পাচ্ছে। এলাকার মূল সড়কের পাশে হওয়ায় সুদৃশ্য এ মসজিদ নিয়ে আগ্রহ আর ভালোলাগা রয়েছে এলাকার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদেরও।

গাজীপুরে এমন অনেক মসজিদ, ইয়াতিমখানা আর ধর্মীয় স্থাপনা নির্মাণ করেছে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা কাতার চ্যারিটি।
সম্প্রতি গাজিপুরের এমন তিনটি প্রজেক্ট এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায় এলাকাবাসী কাতার চ্যারটির এমন উন্নয়নমূলক কাজে বেশ উচ্ছ্বসিত।করনোর ঠিক আগে নির্মাণ কাজ শেষ হয় সদর উপজেলার বলধা জামে মসজিদের। পাশেই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বিশাল খেলার মাঠ। জেলার অন্যতম বড় এই মাঠে সারা বছরই নানা টুর্ণামেন্ট আয়োজিত হয়। তাদের মধ্যে যারা নামাজি তারা অনেক কষ্ট করতেন এখানে জরাজীর্ণ মসজিদে নামাজ আদায় করতে।

মসজিদ কমিটির সভাপতি মাওলানা বেলাল হোসেন দৈনিক খোলা কাগজকে বলেন, এলাকাবাসী অনেক উপকৃত হয়েছে মসজিদটি পেয়ে। আগে ছোট্ট একটি পুরনো মসজিদ ছিলো কিন্তু সেখানে সবার সংকুলান হতো না। কাতার চ্যারিটির প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।

একই অভিব্যক্তি কালনী মসজিদের সেক্রেটারী শুকুর আলী ও মুসুল্লী জামাল পালোয়ানের। তারা বলেন, দীর্ঘদিন আমরা ছাপড়া দেওয়া মসজিদে নামাজ পড়েছি। বৃষ্টিতে পানি পড়তো। ভালো বাধরুম ও অযুর ব্যবস্থা ছিলো না। এখন সব অভাব দূর হয়েছে। মসজিদটি এলাকার সুনামও বাড়িয়েছে।

কালনী থেকে প্রাইভেট কারে প্রায় আধা ঘণ্টার পথ পেরিয়ে চ্যারিটির তৃতীয় প্রকল্প পাজুলিয়া কেন্দ্রীয় মসজিদ। তেত্রিশ শত বর্গফুটের বিশাল এ মসজিদটি এক কথায় চমৎকার। সিটি কর্পোরেশনের ২৪ নম্বর ওয়ার্ডভুক্ত এ মসজিদের সেক্রেটারী তরুণ সমাজসেবক সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, এখানে একটি একতলা পাকা মসজিদ ছিলো তবে সেটি পুরণো। মুসুল্লীদের সংকুলান হতো না। কাতার চ্যারিটি সম্প্রতি মসজিদটি করে দিয়েছে। আমরা কাতার সরকারের এই মহতি উদ্যোগের কাছে ঋণী।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *