সড়কে লাশের সারি দেখে পালিয়েছিলেন সেই ট্রাকচালক
সিলেটের সড়কে ১৫ লাশ ঝরার ঘটনার পর পালানো ঘাতক ট্রাকের চালক মো. শফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। দুর্ঘটনার পরই লাশের সারি দেখে ও ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে পালিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পটুয়াখালী জেলার সদর থানা এলাকা থেকে শনিবার রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি শেরপুর জেলার সদর থানার নয়াপাড়া মোকসেদপুর এলাকার মো. মিস্টার মিয়ার ছেলে।
রোববার র্যাব-৯ এর পক্ষে উইং কামান্ডার মো. মোমিনুল হক (জিডিপি) এ তথ্য দেন। তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনার সময় ট্রাকচালক নিজেও আহত হয়েছিলেন। সেই অবস্থাতেই পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যান তিনি। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ট্রাকচালককে পটুয়াখালী থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর শফিকুলকে দক্ষিণ সুরমা থানায় হস্তান্তর করে র্যাব।
গত ৭ জুন ভোরে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের নাজিরাবাজারে ট্রাক ও পিকআপের সংঘর্ষে ১৫ জন নিহত হন। নিহতরা হলেন- সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামের মো. সিজিল মিয়া (৫৫), একলিম মিয়া (৫৫), হারিছ মিয়া (৬৫), সৌরভ মিয়া (২৭), সাজেদুর (৬০), বাদশা মিয়া (৩০), সাধু মিয়া (৫০), রশিদ মিয়া (৫০), মেহের মিয়া (২৫) ও বাদশা মিয়া (২২), সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলার শাহীন মিয়া (৪০), দুলাল মিয়া (২৬) ও আওলাদ হোসেন (৫০), হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের আমিনা বেগম (৪৫) এবং নেত্রকোনা বারহাট্টার আওলাদ মিয়া (৪০)।
এ ঘটনায় এক নিহতের ছেলে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ভাটিপাড়ার ইজাজুল বাদী হয়ে মামলা করেন। আসামি করা হয় ট্রাক ও পিকআপ চালককে।