লাইভে এসে অঝোরে কাঁদলেন পরীমণি
অনলাইন ডেস্ক:
ভাঙনের পথে ঢাকাই সিনেমার আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমণি ও চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের সংসার। সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের লাইভে হাজির হয়ে রাজের কাছে ডিভোর্স চান পরী। সেখানে কথা বলতে বলতে অঝোরে কেঁদে ফেলেন তিনি।
কিন্তু নায়িকা জানান, এই সংসারটা টিকিয়ে রাখার সবরকম চেষ্টাই করেছিলেন তিনি। কারণ, পরীমণি চাননি মানুষ বলুক- ‘এই মেয়েটা সংসার করতে পারে না।’
পরীমণি বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছিল বিয়ের পর নানু ভাই বাসায় থাকা নিয়ে রাজ অনেক বেশি ডিস্টার্ব। কারণ আমাদের সেই বাসাটা শিফট করে ছোট বাসায় চলে গেছি। আমার মনে এটা হয়েছে- অনেক সময় মাঝ রাতে ও অনেক সাউন্ড দিয়ে গান শুনতে চায়, যেটাতে আমার নানুর সমস্যা হয়। এখানে রাজকেও আমি কিছু বলতে পারি না। কারণ, রাজের মুডটা ওরকম থাকে এবং নানু ভাইকেও আমি কিছু বলতে পারি না। তখন এই ব্যাপারটাই আমি চাচ্ছিলাম না, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে কিছু কিছু প্রবলেম হয়, আর যেখানে নানু ভাই সারাজীবন আমার সঙ্গে থেকে এসেছে সেখানে নানু ভাইকেও আমার বাড়িতে শিফট করে দিয়েছি।’
ঠিক কথার এ পর্যায়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। কান্না কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ফোকাস ছিল আমার ফ্যামিলিটা। দেখেন কোনোকিছু হলে তো পরীকেই এখন দায়ভার নিতে হবে যে, এই মেয়েটা আসলে সংসার করতে পারে না। আরও দশজন আসলে আমার ওপরেই আঙুলটা তুলবে যে এই মেয়েটারই প্রবলেম। এইটা আমি যেভাবে বুঝি, আপনি যেভাবে বোঝেন, এটা রাজও খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছিল। এজন্যই এই ব্লেম গেমটা সারাজীবন আমার নিতে হবে বা এখন আমি নিচ্ছি। যেটার জন্যে আমাকে খুব বাজেভাবে পেয়ে বসলো, এটা একটা সূত্র হয়ে দাঁড়াল যে, কোনো কিছু হলে এটা পরীরই দোষ হবে।’
আরও সময় দিলে তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে কি না—এমন প্রশ্নের উত্তরে পরী জানান, সেটা আর সম্ভব নয়। তিনি পাঁচ মাস সময় দিয়েছেন। এর মধ্যে যখন হয়নি, তখন তাদের সম্পর্কের কার্যত ইতি ঘটেছে বলে তিনি মনে করেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পরীমণি ও শরিফুল রাজ। ২০২২ সালে এই দম্পতির সংসারজুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান। তাদের সন্তানের নাম রাজ্য।