মহাসড়ক সম্প্রসারণের নামে গাছ কাটা হচ্ছে
গোয়ালন্দ উপজেলা প্রতিনিধি,
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সম্প্রসারণের নামে রাস্তার গাছ কেটে মরুভূমি বানিয়ে ফেলা হয়েছে। এরই মধ্যে উপজেলার বাজার বাসস্ট্যান্ডে শতবর্ষী দুটি কড়ই গাছ কেটে ফেলার সময় স্থানীয় লোকজন ও সামাজিক সংগঠনের লোকজনের বাধায় আপাতত তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
বুধবার দুপুরের দিকে স্হানীয় কিছু যুবক শতবর্ষী গাছটির চারদিক ব্যান্ডেজ দিয়ে জড়িয়ে তাতে লাল রং লাগিয়ে রক্তাক্ত অবস্থার সৃষ্টি করে সেখানে লিখে দেন “আমাকে বাঁচান”। এ সময় সেখানে সাংবাদিক, ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদ, শিক্ষকসহ অনেকেই জড়ো হন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘এখানে গাছগুলোকে রক্ষা করেই মহাসড়কের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ কাজ করার সুযোগ রয়েছে। উন্নয়ন যেমন জরুরী, তার চেয়ে বেশী জরুরী গাছগুলোকে রক্ষা করা।’
স্থানীয় বাসিন্দা স্কুলশিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘বিশালাকার গাছগুলো এলাকার সাধারণ মানুষ ও দোকানদারদের বছরের পর বছর ধরে ছায়া দিয়ে আসছে। তপ্ত রোদে গরমে মানুষ গাছগুলোর নিচে একটু হাফ ছেড়ে নি:শ্বাস নেয়। বিশ্বের কোনো সভ্য দেশে এভাবে অতি উপকারী গাছপালা কেটে কোনো উন্নয়ন কাজ করে না।
স্থানীয়রা বলছেন, গাছগুলো তাদেরকে তপ্ত রোদ-গরম ও ঝড়-বৃষ্টির হতে বহুকাল ধরে রক্ষা করে আসছে। গাছগুলোর নিচে মাঝে মধ্যেই রাজনৈতিক সভা-সমাবেশ হয়। অনেকেই এর নিচে বসে ছোটখাটো ব্যবসা করেন। এগুলো কেটে ফেলা হলে গোটা বাসস্ট্যান্ড এলাকা খা খা করবে। মরুর ন্যায় হয়ে যাবে। আমরা এ গাছগুলো রক্ষার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সি বলেন, ‘আমি জনসাধারণের দাবির সঙ্গে একমত। গাছগুলো রক্ষা করে উন্নয়ন কাজ করা গেলে খুব ভালো হয়।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জাকির হোসেন বলেন, ‘গাছ দুটি এলাকার জন্য খুবই জরুরী। তবে মহাসড়কের সম্প্রসারণের জন্য টেন্ডারের মাধ্যমে বৈধ ভাবেই এগুলো কাটা হচ্ছে। জনসাধারণের দাবির প্রেক্ষিতে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সাময়িক ভাবে গাছ কাটা বন্ধ রাখতে বলেছি। বিষয়টি নিয়ে বন বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করব