বেসরকারিতে ডেঙ্গি পরীক্ষা খরচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা
চলতি বছর বেসরকারি পর্যায়ে ডেঙ্গি সংক্রমণের পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা এবং সরকারিতে ১০০ টাকা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোনো হাসপাতাল, ক্লিনিক বা ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে বেশি অর্থ নিলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। রোববার অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
তিনি বলেন, পরীক্ষাসহ ডেঙ্গি চিকিৎসায় আমরা সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন করে দিয়েছি। গাইডলাইন অনুযায়ীই সবাইকে চিকিৎসা দিতে হবে। রোগীর রক্তের প্লাটিলেট ব্যবহার নিয়েও গাইডলাইনে নির্দেশনা রয়েছে। সব সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গি স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব অনেক বেশি বেড়ে গেলে করণীয় কী হবে, প্রতিটি হাসপাতালকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। রোগী বাড়লে অতিরিক্ত আবাসিক চিকিৎসক এবং মেডিসিন বিশেষজ্ঞকে দায়িত্ব দিতে হবে। যেন রোগীর চিকিৎসা ব্যাহত না হয়। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গি রোগীদের জন্য পর্যাপ্ত মশারির ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্ট পরিচালকদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডিরেক্টর (সিডিসি) অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ডেঙ্গি নিয়ে আমাদের একটি ভুল ধারণা রয়েছে। ডেঙ্গি হলেই আমরা প্লাটিলেটের জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে যাই। কিন্তু ডেঙ্গি আসলে প্লাটিলেট ডিজঅর্ডার নয়, এ ক্ষেত্রে ঝুঁকির কারণ হতে পারে প্লাজমা লিকেজ। এককথায় বলতে গেলে ডেঙ্গিতে প্লাটিলেটের কোনো ভূমিকা নেই। প্লাটিলেটের চেয়ে ডেঙ্গি রোগীর জন্য বেশি দরকার ফ্লুইড।
তিনি বলেন, ডেঙ্গির বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে। ডেঙ্গিতে শক সিনড্রোম ও ডেঙ্গি হেমারেজ হতে পারে। অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ যুক্ত করে ফেলে। এটি হলো সবচেয়ে মারাত্মক পর্যায়। এই অবস্থায় আসা রোগীদের বাঁচানো অনেক কঠিন।
সংবাদ সম্মেলনে অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, ঢাকা মহানগরীর পর দেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গি রোগী চট্টগ্রাম বিভাগের কক্সবাজারে। জেলার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মধ্যে বেড়েই চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। চলতি বছরও সহস্রাধিক ডেঙ্গি রোগী শনাক্ত হয়েছে সেখানে। তবে ভাইরাসটি প্রতিরোধে ব্যবস্থাপনা কঠিন। এখন পর্যন্ত ১০৬৬ রোহিঙ্গা ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে।