Home সারাদেশ বৃষ্টি হলেই ক্লাস বন্ধ
Mei ২৯, ২০২৩

বৃষ্টি হলেই ক্লাস বন্ধ

মাগুরার মহম্মদপুরে পানিখাটা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চার কক্ষবিশিষ্ট একটি ভবন পরিত্যক্ত হওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে গাছতলায়। কখনো বৃষ্টি হলে ক্লাস বন্ধ থাকে।রৌদ্র, বৃষ্টি, টয়লেটের গন্ধসহ নানা প্রতিকূলতার মধ্যে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।রোববারে দুপুরে সরেজমিন গেলে শিক্ষকদের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে গাছতলায় ক্লাস নিতে দেখা যায়। বিদ্যালয় থেকে জানা যায়, ১৯০০ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিদ্যালয়ে শিশুশ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত রয়েছে। বিদ্যালয়ে মোট ১৬৭ জন ছাত্রছাত্রী, পাঁচজন শিক্ষক ও একজন কর্মচারী রয়েছেন। বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন রয়েছে। চার কক্ষবিশিষ্ট পরিত্যক্ত ছাড়াও দুই কক্ষবিশিষ্ট আরেকটি ভবন রয়েছে।

তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী আনিকা ও ছাত্র আরিয়ান জানায়, প্রখর রৌদ্রের মধ্যে আমাদের ক্লাস করতে হয়। আমাদের অনেক কষ্ট হয়। ঠিকমতো পড়তে পারি না। বাইরে থেকে ময়লার দুর্গন্ধ আসে। আর বৃষ্টি হলে বই-ব্যাগ তো ভিজেই যায়।

বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লিটন কুমার রায় বলেন, বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন আছে। পুরাতন ভবনে গত বছর হঠাৎ করে ছাদ ভেঙে পড়ে। ওই ভবনে এখন পলেস্তারা খসে পড়ছে। ক্লাস নেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ঝুঁকি নিয়ে ক্লাস করারে পলেস্তারা ভেঙে ছাত্রছাত্রীদের মাথার ওপর পড়লে এর দায়ভার কে নেবে।

প্রধান শিক্ষক সাইফুল ইসলাম জানান, বিদ্যালয়ের ভবনের জন্য গত বছর মহম্মদপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আবেদন দিয়েছি। এ বছর আবারো আবেদন করেছি। এখনো কোনো ভবন পাইনি। চার কক্ষের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। উপায় না পেয়ে গাছতলায় পাঠদান করাতে হচ্ছে। এতে আমরা ঠিকমতো পাঠদান করাতে পারছি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মো. ওয়াহিদুজ্জামান জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন মহলে জানানো হয়েছে। ওই বিদ্যালয়ে দ্রুতই ভবনের বরাদ্দ আসবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রামানন্দ পাল জানান, ভবনের চাহিদা দেওয়া আছে। আমরা আশাবাদী দ্রুতই বরাদ্দ পাওয়া যাবে।

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *