Home প্রচ্ছদ ভিসা নিষেধাজ্ঞার মার্কিন হুঁশিয়ারি, যা বললেন কৃষিমন্ত্রী
Mei ২৫, ২০২৩

ভিসা নিষেধাজ্ঞার মার্কিন হুঁশিয়ারি, যা বললেন কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, নির্বাচনে বাধা দিলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার যে হুঁশিয়ারি দিয়েছে সেই বিষয়ে সরকার চিন্তিত নয়। কারণ এটি সবার জন্য সতর্কবার্তা। মন্ত্রী আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বলেছে,ভিসা নিষেধাজ্ঞা সরকারি ও বিরোধী দল, সিভিল সোসাইটি সবার জন্য প্রযোজ্য। যারাই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসার নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার বাইরে যুক্তরাষ্ট্র কোন কিছু সমর্থন করবে না। বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা বলেন। এর আগে মন্ত্রীর সচিবালয়ের কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন পূর্বনির্ধারিত সাক্ষাৎ করেন।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন,  আমি মনে করি এ ভিসানীতির পরিবর্তন সবার জন্য ক্ষতি। আমাদের অনেক অশুভশক্তি রয়েছে। অসাংবিধানিক গোষ্ঠী রয়েছে, ১৯৭৫ সালে তারা জাতির পিতাকে হত্যা করেছে। বারবার এ অসাংবিধানিক শক্তি ক্ষমতায় এসেছে। তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে এ সব ঘটনা ঘটছে। আপনারা দেখছেন পাকিস্তানেও ঘটছে। এমন ধারা বাংলাদেশেও আসতে পারে। আমরা সরকার বা আওয়ামী লীগ ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে চিন্তিত না। আমরা আমাদের বিবেক দিয়ে পরিচালিত হচ্ছি। কাজেই এটা নিয়ে আমাদের কোনো ভয় নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সুনির্দিষ্ট কারও ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। কেউ নির্বাচন প্রক্রিয়া বাঁধাগ্রস্ত করলে তার ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেবে। সেক্ষেত্রে আমাদের অবস্থান খুবই সুস্পষ্ট।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যেটা সঠিক নয়, আমরা সেটা করবো না। এমন কিছু করবো না যেটার মাধ্যমে আমাদের কেউ ভিসা থেকে বঞ্চিত হয়।

গত বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ঘোষিত এ ভিসানীতিতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যে কোনো বাংলাদেশি নাগরিকের ভিসা প্রদানে বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে কথা বলার জন্য আমি উপযুক্ত ব্যক্তি নই। এ বিষয়ে ইতোমধ্যে সরকার ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় লিখিত জবাব দিয়েছে। সেটিই আমার বক্তব্য। সেখানে আমরা বলেছি-অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে এ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে আরেকটি নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিয়ে ঠিক করবে, আগামী দিনে কারা সরকার গঠন করবে।

তিনি আরও বলেন, আমরাও বারবার বলেছি, প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, আমরা যেকোনো মূল্যে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও সুন্দর নির্বাচন করবো।

সরকার কোনো চাপ অনুভব করছেন কি না- জানতে চাইলে কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমরা কোনো চাপ অনুভব করছি না। এ ধরনের নিষেধাজ্ঞা আমরা অতীতে দেখিনি। যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে হত্যা করে- তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে। তারাও তো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করার অপরাধ থেকে মুক্ত নয়।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, কেউ যদি নির্বাচনে না আসে সেই দায়িত্ব তাদের। আমরা শেষ দিন পর্যন্ত অপক্ষো করবো, সব দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন করার জন্য। সেজন্য সরকারের কোনো কার্পণ্য থাকবে না, কোনো আন্তরিকতার অভাব দেখাবে না। আমরা দৃঢ় বিশ্বাস বিএনপিসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে।

চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের ওপর প্রভাব ফেলতে মার্কিন ভিসানীতি পরিবর্তন করা হয়েছে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বলেন, চীন এখন তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনৈতিক শক্তি। তারা আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিবেশি দেশ। আমাদের বিভিন্ন মেগা প্রজেক্ট স্থাপনে ও কিছু ক্ষেত্রে অর্থ ঋণ দিয়েও তারা সহায়তা করছে। চীনের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক খুব গুরুত্বপূর্ণ। আমরা সবসময় বলে থাকি আমরা সব দেশের সঙ্গেই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলব। তবে সবসময় আমাদের জাতীয় স্বার্থই স্থায়ী। আমাদের স্বাধীনতার  সার্বভৌমত্ব ঠিক রেখে সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকবে। সুতরাং চীনের সঙ্গে আমাদের কৌশলগত এমন কোন সম্পর্ক নেই, যে কারণে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসানীতি পরিবর্তন করতে পারে।

 

Tinggalkan Balasan

Alamat e-mel anda tidak akan disiarkan. Medan diperlukan ditanda dengan *