অনলাইন ডেস্ক,
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে পরকীয়ার জেরে স্ত্রী হত্যা মামলার মূল রহস্য উদঘাটনের পাশাপাশি জড়িত আরো দুই আসামিকে গ্রেপ্তার ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত গাড়ি উদ্ধার করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (২৩ মে) সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল।
সোমবার (২২ মে) রূপগঞ্জ থানাধীন গোলাকান্দাইল এলাকায় অভিযান চালিয়ে দুই আসামি একই এলাকার মৃত সামসুল ইসলামের ছেলে আরজু (৩৫) ও মৃত নায়েব আলীর ছেলে ড্রাইভার রাকিব হোসেনকে (২৯) গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে নিহত মৌসুমীর স্বামী ও গোলাকান্দাইলের নেওয়াজ আহমেদের ছেলে শরিফুল ইসলাম রাসেলকে (৩২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার জানান, ওই তিনজনকে গ্রেপ্তারের পর ড্রাইভার মো. রাজিব হোসেনের দেখানো ও শনাক্তমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি সিলভার কালার হায়েস গাড়ি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, মৃত মৌসুমীর সঙ্গে রাসেলের ১০ বছর পূর্বে বিয়ে হয়। বিবাহের পর তাদের একটি ছেলের জন্ম হয়। সাংসারিক জীবনে রাসেলের বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্ক ছিল।
এর প্রতিবাদ করায় রাসেল ১৯ এপ্রিল রাতে কৌশলে গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা শেষে তার পূর্ব পরিচিত বন্ধু ড্রাইভার মো. রাজিব হোসেন ও আরজুদের সহযোগীতায় একটি সিলভার কালার হায়েস গাড়িতে তুলে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে।পরবর্তীতে উক্ত ঘটনাটিকে ডাকাতির নাটক সাজানোর জন্য মৌসুমীর মরদেহ নিয়ে গাড়ি থেকে নামার পূর্বেই রাসেল ও তার সহযোগী আরজুকে দিয়ে আসামি শরিফুল ইসলাম রাসেল তার পিঠে ধারাল অস্ত্রের মাধ্যমে আঘাত করে গুরুতর জখম করে ডাকাতির নাটক সাজায়।
এরপর উক্ত ঘটনাকে ডাকাতির ঘটনা উল্লেখ করে মৃত মৌসুমীর ভাই মো. শাহ জালাল বাদী হয়ে এজাহার দায়ের করলে সোনারগাঁও থানার মামলা নেওয়া হয়।