সরকারি কলেজে আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের দ্রুত নিয়োগ ও স্কেল বহাল রাখার দাবি
সরকারি করা কলেজে আত্তীকৃত শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারি আমলে পাওয়া স্ব-স্ব গ্রেড ও স্কেল বহাল রেখে বেতন-ভাতা নির্ধারণ, সহকারী অধ্যাপক (নন ক্যাডার), সহযোগী অধ্যাপক (নন ক্যাডার), অধ্যাপক (নন ক্যাডার) পদে পদোন্নতির উপবিধি প্রণয়ন করে দ্রুত পদোন্নতিসহ পাঁচ দফা দাবি করেছে সরকারি কলেজ শিক্ষক সমিতি (সকশিস)। শুক্রবার ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে সংগঠনের বার্ষিক সাধারণ সভা ও নবনির্বাচিত কমিটির পরিচিতি সভায় এসব দাবি বাস্তবায়নে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করা হয়। সভায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেসরকারি আমলের চাকরিকালীন শতভাগ সময় সরকারি চাকরিকাল হিসাবে গণনা করে বেতন-ভাতা ও জেষ্ঠ্যতা নির্ধারণ, পদোন্নতি, পেনশন ও ছুটি কার্যকর করা, আত্তীকৃত কলেজসমূহে বদলির সুযোগ রাখা ও অতিদ্রুত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানানো হয়। সভায় পঠিত মূল বক্তব্যে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি স্কুল কলেজবিহীন প্রতিটি উপজেলায় ১টি করে স্কুল ও ১টি করে কলেজ সরকারি করার ঘোষণা দেওয়ার পর ২০১৬ সালের ৩০ জুন ৩০২টি কলেজ সরকারি করণের জন্য বাছাই করা হয়। এরপর আরো ২৭টি কলেজ বাছাই করা হয়। ২০১৬ সালের ২৮ আগস্ট নিয়োগ ও অর্থ ব্যয়ের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৮ সালে তৈরি করা আত্তীকরণ বিধিমালায় আত্তীকৃতদের মর্যাদা, পদোন্নতি, বেতন ভাতাদি নির্ধারণ ও কার্যকর চাকরিকাল গণনাসহ নানা বিষয়ে বৈষম্য সৃষ্টি করা হয়। একাধিকবার যাচাই-বাছাইয়ের পর নানা ধাপ পেরিয়ে এখন পর্যন্ত ১৬১টি কলেজ সচিব কমিটিতে অনুমোদন পেয়েছে। অধিকতর তদন্তের জন্য রাখা হয়েছে ১৩৪টি কলেজ। নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে ৯৫টি কলেজের। মাত্র ২৭টি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী পুরোপুরি সরকারি বেতন-ভাতা পাচ্ছেন। এই দীর্ঘসূত্রিতার জন্য ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক-কর্মচারীরা জাতীয়করণের সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। জিও জারির পর থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারী অবসরে চলে গেছেন। চরম আর্থিক সংকটে অস্থায়ী ভিত্তিতে শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া সম্ভব না হওয়ায় পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। বেতন-ভাতা নির্ধারণে শিক্ষক কর্মচারীদের বেসরকারি আমলে প্রাপ্ত স্ব স্ব গ্রেড ও প্রাপ্ত বেতন ধাপ অবনমন করায় হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারীগণকে প্রতিমাসের বেতন-ভাতা বাবদ গৃহীত টাকা থেকে ৭০০০-১০,০০০ টাকা পর্যন্ত সরকারি কোষাগারে ফেরত দিতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত পদোন্নতির নীতিমালা তৈরী না হওয়ায় শিক্ষক কর্মচারীগণ পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমারা অবিলম্বে এসব সমস্যার সমাধানে সরকারের সর্বোচ্চ মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।