‘অনলাইনে কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয় জঙ্গিরা’
অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের (এটিইউ) এডিশনাল ইন্সপেক্টর জেনারেল (এআইজি) এসএম রুহুল আমিন বলেছেন, মাঠপর্যায়ে জঙ্গিদের সংগঠিত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে তারা অনলাইনের মাধ্যমে কুরআন-হাদিসের অপব্যাখ্যা দেয়। এ অপব্যাখ্যার মাধ্যমে জঙ্গিরা মগজধোলাইয়ের চেষ্টা করে। জঙ্গি কার্যক্রমে মগজধোলাই একবার হয়ে গেলে সেটা ফিরিয়া আনা কঠিন। এটা প্রতিরক্ষার জন্য আমাদের সাইবার টিম অনলাইনে মনিটরিং করছে। আমরা সবাই যদি ঐক্যবদ্ধ এবং সচেতন হই তবে জঙ্গিরা কোনোভাবেই আশ্রয় নিতে পারবে না। এমনকি তারা এই দেশের মাটি পাবে না।
খুলনায় রিজিওনাল কনসালটেশনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষায়িত সংস্থা অ্যান্টি টেররিজম ইউনিট (এটিইউ) ও ইউনাইটেড ন্যাশনস অফিস অন ড্রাগ অ্যান্ড ক্রাইমের (ইউএনওডিসি) যৌথ উদ্যোগে ‘ইনিশিয়েটিভস অন কাউন্টারিং টেরোরিজম অ্যান্ড ভায়োলেন্ট এক্সট্রিমিজম থ্রো স্ট্রেন্থেনিং অব কমিউনিটি অ্যান্ড বিট পুলিশিং মেকানিজমস অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ বিষয়ে বলেন।
সোমবার সকালে নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় খুলনা বিভাগের কমিউনিটি ও বিট পুলিশিং কার্যক্রমে সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা প্রতিরোধে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যত কর্মকৌশল নির্ধারণের জন্য এবং সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থা মোকাবিলায় তৃণমূল পর্যায়ে বিট পুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশের ভূমিকা কিভাবে আরও শক্তিশালী ও জোরদার করা যায় এ বিষয়ক কর্মকৌশল নির্ধারণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান অতিথি বলেন, জঙ্গি দমনে আমরা জঙ্গিবিরোধী সেমিনার করছি। এছাড়া আলেমদের নিয়ে একটি বই প্রকাশনাও করি। বর্তমানে প্রায় ৬শ বিট পুলিশের অফিসারদের ট্রেনিং চলমান রয়েছে। ২০১৭ সালে অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিটের আইন পাশ হয় ২০১৭ সালে কিন্তু ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে বিধিমালা হওয়ার পর কাজ শুরু করি।
গত চার বছরে জঙ্গি গ্রেফতারের জন্য ১৫০ অভিযান করেছি। আটক করা হয়েছে ২০০ জঙ্গি। বর্তমান ১০০ মামলার তদন্ত চলছে। ৫০/৫২টি মামলার চার্জসিট দেওয়া হয়েছে; যার মধ্যে অনেকগুলো বিচারকাজ শেষে সাজাও হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কেএমপির পুলিশ কমিশনার মাসুদুর রহমান ভূঞা, খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মঈনুল হক, পিটিসির অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেপুটি কম্যান্ডান্ট) হাবিবুর রহমান খান, অতিরিক্ত ডিআইজি (এটিইউ-বরিশাল বিভাগ) নাসিমা আক্তার, অতিরিক্ত ডিআইজি (এটিইউ খুলনা বিভাগ) মো মনিরুজ্জামান, খুলনার পুলিশ সুপার মাহবুব হাসান, পুলিশ সুপার (ট্রেনিং) এন্টি টেররিজম ইউনিট মোছা. শিরিন আক্তার জাহান, বাংলাদেশের অফিসার ইনচার্জ (ইউএনওডিসি) শাহ মোহাম্মদ নাহিয়ান এবং ন্যাশনাল কনসালটেন্ট (ইউএনওডিসি) প্রফেসর ড. এএসএম আলী আশরাফ।
উপস্থিত ছিলেন- কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (এএন্ডও) সরদার রকিবুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) সাজিদ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক অ্যান্ড প্রটোকল) মোছা. তাসলিমা খাতুন, বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামান, খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজাসহ খুলনা রেঞ্জ এবং খুলনাস্থ অন্যান্য ইউনিটের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তারা, কেএমপি, খুলনা জেলা, যশোর, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা, মেহেরপুর, বাগেরহাট ও কুষ্টিয়া জেলার বিট পুলিশিং এবং কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম তদারককারী কর্মকর্তারা, বিট পুলিশিং ও কমিউনিটি পুলিশিং কর্মকর্তারা এবং খুলনার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।