ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক সহজ করার ক্ষেত্রে ভারতের ভূমিকা
অনলাইন ডেস্ক,
ঘটনাটা ঠিক বছরখানেক আগের। দিল্লির জওহর ভবনে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে প্রশ্নটা ছুঁড়ে দেয়া হল : র্যাবের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তোলার চেষ্টায় বাংলাদেশ কি ভারতের সাহায্য চেয়েছে? ঢাকায় তাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তো সেরকমই দাবি করেছেন!
মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী এমনিতে খুবই সপ্রতিভ একজন কর্মকর্তা, সব প্রশ্নের ঝটিতি উত্তর থাকে তার ঠোঁটের ডগায়। কিন্তু এই প্রশ্নটায় তাঁকেও রীতিমতো অপ্রস্তুত দেখাল, যেন কী বলা যায় বুঝেই উঠতে পারছেন না।
শেষে কিছুটা আমতা আমতা করেই তিনি যা বললেন তার মর্মার্থ হল, বাংলাদেশ যদি এরকম অনুরোধ জানিয়েও থাকে তাহলে তার ডিটেলস বা ভারত তাতে সাড়া দিয়ে কিছু করেছে কি না, সেগুলো নিয়ে জনসমক্ষে আলোচনা করা বোধহয় ঠিক হবে না।
ঘটনাচক্রে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর সে দিনই আবার সরকারি সফরে ঢাকায় গেছেন, দেখা করছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও।
সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে মুখপাত্র আরও জানালেন, “আগে দেখি, ঢাকায় আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকগুলো আগে শেষ হোক। তারপর এ বিষয়ে কোনও তথ্য যদি আমি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে পারি, অবশ্যই করব।”
না, এরপর আর কোনও তথ্য মিডিয়াকে জানানো হয়নি। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তদবির করার জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে – এই বক্তব্য দিল্লি যেমন নিশ্চিত করেনি, তেমনি আবার অস্বীকারও করেনি।