একই সাথে দুই স্বামীর ঘর করছেন আইনজীবী: আটক পরবর্তী আইনে সোপর্দ
খন্দকার রবিউল ইসলাম, রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ী আদালতের আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দত্ত নামে এক আইনজীবী অবৈধভাবে নারী সহকর্মীর সাথে বসবাস করার অভিযোগে আটক করেছে পুলিশ।
তবে আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দত্তের দাবি তিনি তার সহযোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবীকে বিয়ে করে ভাড়া বাসায় উঠেছেন।
মঙ্গলবার ( ২৩মে) রাত ৯টায় আইনজীবী নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও তার সহযোগী শিক্ষানবিশ আইনজীবী নারীসহ শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গার একটি ভাড়া বাসা থেকে আটক করা হয়।
বাড়ির মালিক জানান, কিছু দিন হলো বাসা ভাড়া নিছেন। তবে তারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাসা ভাড়া নেন।
কিন্তু তারা নিয়মিত এখানে থাকেন না। আবার উকিলের স্ত্রী জানতে পেরে আমার বাসায় এসে কান্নাকাটি করে। পরে আজকে তাদের আটক করি। এর পর নারায়ণ চন্দ্র দত্তের স্ত্রী সন্তানকে ডেকে আনা হয়। পারিবারিকভাবে বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় পুলিশে হস্তান্তর করা হয়।
অভিযুক্ত নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ২ সন্তানের জনক ও তার সহযোগী শিক্ষানবিশ নারী আইনজীবী এক সন্তানের জননী। তাদের উভয়ের আলাদা আলাদা সংসার রয়েছে। তবে তারা বিয়ে করছেন বলে দাবি করে, কোর্টের নোটারী পাবলিক করা কিছু কাগজ পত্র দেখান।
এবিষয়ে একজন আইনজীবী বলেন, ১৯৬১ সালের মুসলিম ও পারিবারিক আইন অনুযায়ি বৈধ বিবাহের অবশ্যই কাবিননামা থাকতে হবে। কাবিননামা ছাড়া বিবাহের বৈধ কোন কাগজ নেই। হিন্দু আইনেও বর্তমানে রেজিঃ চালু করা হয়েছে বাংলাদেশে। কিন্তু নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে যে হলফ নামা তৈরী করা হয়। এটা বিবাহের কোন বৈধ কাগজ নয়। উক্ত কাগজ শুধু মাত্র একটি হলফনামা। যাহাতে দু’জনের সম্মত্তিসুচক ঘোষনা মাত্র। উক্ত হলফনামার আইনগত ভিত্তি নেই। সে কারনে বৈধ বিবাহের ক্ষেত্রে অবশ্যই কাবিননামা থাকতে হবে।
এছাড়া একটি নারী কখনই এক সাথে দুই স্বামী রাখতে পারেন না। আগে স্বামী থাকিলে তাহাকে তালাক না দেয়া পর্যন্ত ২য় কাউকে স্বামী হিসাবে গ্রহন করতে পারে না। তারা দন্ডবিধির ২৯০ ধারায় অপরাধ করেছে।
এঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানার ওসি মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন জানান, নারীসহ আইনজীবী আটক করেছে স্থানীয়রা। এমন খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাদের কাগজ পত্র যাচাই বাছাই করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।