রামগড়ে ড্রাগন চাষে সফল তরুণ উদ্যোক্তা নাহিদ
তাই বেশি লাভের আশায় এবার ধানের জমিতে ‘লাল ড্রাগন’ ফলের চাষে ঝুঁকছেন অনেকে। বাণিজ্যিকভাবে জমিতে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ড্রাগন চাষ করে লাভের আশা করা হচ্ছে। আগামী সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ড্রাগন ফল পাওয়া এবং বিক্রি করা যাবে বলে জানায় নাহিদ।
রামগড় হর্টিকালচার সেন্টারের পাশে ৫০শতক জমিতে লাল, সাদা, হলুদ জাতের ড্রাগন চাষ করছেন নাহিদ।
নাহিদ বলেন, ‘এ জমিতে ড্রাগন চাষ করে, ফল বিক্রি শুরু করেছি। ধানের চেয়ে এই ড্রাগন ফল চাষে বেশি লাভ পাওয়া যাবে আশা করি। বর্তমানে ৫০ শতক জমিতে ৩১৮টি পিলারে ১২শ টি ড্রাগন ফলের গাছ আছে। মে মাস থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ড্রাগনের ফুল ও ফল ধরে। আমরা চলতি বছর থেকে ফল বিক্রি শুরু করেছি। ড্রাগন ফল সর্বোচ্চ ৭০০গ্রাম হয়। সাইজ অনুপাতে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা পাইকারি দরে বিক্রি করা হয়েছে। এরই মধ্যে ৫০০-৬০০ কেজি ফল বিক্রি করা হয়েছে।’
এদিকে কৃষি অফিস কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান জানায়, চারা রোপণের এক বছরের মাথায় ফলন পাওয়া যায়, প্রাকৃতিক দুর্যোগে তেমন কোন ক্ষতির আশংকা নেই। পরিচর্যা ছাড়া কোনো খরচও করতে হয় না। প্রায় সব ধরনের মাটিতেই ড্রাগন ফল চাষ করা যায়। ড্রাগনের ফলের পিঁপড়া ছাড়া তেমন কোন সমস্যা নেই। পূর্ণবয়স্ক একটি গাছে ২৫ থেকে ১০০টি ফল পাওয়া যায়।