ডাব-গুড়ের শরবত খায় ৩০ মণ ওজনের সিংহরাজ
রাজবাড়ী সদর উপজেলার দাদশী ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সিংগা গ্রামের সিংগা বাজার সংলগ্ন এলাকায় সুচিন্ত্য কুমার সেনের খামারে কুরবানির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে সিংহরাজ। আর ৩০ মণ ওজনের এই সিংহরাজ অন্যান্য খাবারের পাশাপাশি খায় ডাব-গুড়ের শরবত। সিংহরাজ নামক ষাঁড়ের দাম হাঁকা হয়েছে ২৫ লাখ টাকা। এর ওজন হয়েছে (১২০০ কেজি) অর্থাৎ ৩০ মণ। সিংহরাজ ১০ ফুট লম্বা ও উচ্চতা ৬ ফুট।
সিংগা গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা লুৎফর রহমান বলেন, সিংহরাজ ষাঁড়টি দেখতে যেমন সুন্দর, এর গঠনও বেশ ভালো। আমার জানা মতে, জেলায় এত বড় কুরবানির ষাঁড় পবিত্র ঈদুল আজহায় কোথাও দেখা পাওয়া যাবে না বলে জানান।
সিংগা বাজারের ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, সিংহরাজ ষাঁড়টি দেখার জন্য প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোক আসছেন। ষাঁড়টি এবার বেশ ভালো দামে বিক্রি হবে।
খামারি সুচিন্ত্য সেন বলেন, চার বছর আগে কুষ্টিয়া থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের কালো রঙের ষাঁড়টি ৭৫ হাজার টাকায় কিনে এনেছিলাম। তারপর বাড়িতে এনে অনেক যত্নে ষাঁড়টিকে লালন-পালন শুরু করছি। আদর করে আমি তার নাম দিয়েছি সিংহরাজ।
তিনি বলেন, সিংহরাজের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় থাকে খেসারির ভুসি, ডাবলির ভুসি, ভুট্টার ভুসি, গমের ভুসি, খুদের ভাত, ডাব ও গুড় দিয়ে তৈরি শরবত, কাঁচা-পাকা কলা ও কাঁচা ঘাস। প্রতিদিন সিংহরাজের খাওয়ার পেছনে আগে এক হাজার দুইশ টাকা খরচ হলেও এখন জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে খরচ হয় এক হাজার পাঁচশ টাকা।
তিনি আরও বলেন, সিংহরাজকে মোটাতাজাকরণের কোনো ওষুধ আজ পর্যন্ত দেইনি। সিংহরাজকে কেনার পর থেকে এই পর্যন্ত ১৫ থেকে ১৬ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এর দাম চাচ্ছি ২৫ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা মো. ফজলুল হক সরদার যুগান্তরকে বলেন, জেলার মধ্যে এবার সবচেয়ে বড় গরু হলো রাজবাড়ীর সিংগা গ্রামের সুচিন্ত্য সেনের ষাঁড় সিংহরাজ। ষাঁড় গরুটি এবার প্রাণিসম্পদ মেলার প্রদর্শনীতে উঠেছিলে। কুরবানির ঈদে সিংহরাজ নামক ষাঁড়টির দাম নাকি ২৫ লাখ টাকা দাম চেয়েছেন ওই খামারি।