টয়োটা করোলা হাইব্রিড কেন আকর্ষণীয়
বাজেটবান্ধব একটি চমৎকার গাড়ির নাম ২০২৩ টয়োটা করোলা হাইব্রিড সিডান। মাত্র ২৩ থেকে ২৭ হাজার মার্কিন ডলারে (২৪-২৯ লাখ টাকা) বিশ্বব্যাপী উচ্চ-মধ্যবিত্তের বিলাসপণ্য হয়ে উঠেছে গাড়িটি। অল-হুইল ড্রাইভের জন্য একটি দুর্দান্ত পছন্দের এ গাড়ি গত বছর শুধু ইউরোপেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার। বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দার বাজারে যুক্তরাষ্ট্রেও গাড়িটির বিশেষ চাহিদা। তার ওপর রয়েছে নানা ছাড় প্রস্তাব। আর এশিয়ার দেশগুলোতেও এ গাড়ির চাহিদা। যদিও টয়োটা কোম্পানি এশিয়াকে লক্ষ্য করে ২০২১ সালে বাজারে ছেড়েছিল টয়োটা ক্রস। মাত্র ১৮-২৩ লাখের মধ্যে এশিয়ায় বিক্রি হয়েছে জাপানি এ গাড়ি।
কিন্তু কী আছে তারুণ্যের পছন্দ টয়োটা করোলা হাইব্রিডে। স্টাইলিশ ডিজাইনে গ্রিল টেক্সচার, অ্যারো-লুক গ্রাউন্ড ইফেক্ট এবং গ্রাফাইট পেইন্ট করা গাড়িটির চাকা ১৮ ইঞ্চি। যদিও চটকদার হুন্দাই ইলান্ট্রা কিংবা হোন্ডা সিভিকের সঙ্গে তুলনা করলে এটি কিছুটা ফ্যাকাশেই দেখাবে। তবু এ সিডানটি আকর্ষণীয়।
দরজার প্যানেল এবং আর্মরেস্টগুলোতে নরম আরামদায়ক উপকরণের বৈশিষ্ট্যকে আলাদা করে দেয়। ভেতরের নকশা তার প্রতিযোগীদের সঙ্গে মানানসই না হলেও বাহ্যিক নকশা সেই দুর্বলতা ঢেকে দেয়। পাঁচ যাত্রী ধারণক্ষমতার এ গাড়ির রাইড কোয়ালিটি দারুণ।
চার চাকার স্বাধীন সাসপেনশন নিয়ে গাড়ির শব্দ ও কম্পন খুবই স্মুথ। তবে সামনের আসনে বসা লম্বা যাত্রীর ক্ষেত্রে অস্বস্তির হতে পারে। এমনকি পেছনের সিটে তিন যাত্রীর বসাও ততটা আরামদায়ক হবে না, যতটা স্বচ্ছন্দ থাকা যায় হুন্দাই ইলান্ট্রা হাইব্রিডের ক্ষেত্রে। অটো অ্যান্ড্রয়েড গাড়িটির সেন্টার ডিসপ্লে ৮ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন। ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার ডিসপ্লে ৪.২ ইঞ্চি। ইন্টিগ্রেশন ইউএসবি কর্ডের সাহায্যে স্মার্টফোনের চার্জিং ব্যবস্থা স্বস্তিদায়ক।
১.৮ লিটার ও হাইব্রিড ইঞ্জিনের গাড়িটির মাইলেজও ভালো। শহরে প্রতি গ্যালনে ৭৫ কিলোমিটার এবং হাইওয়েতে ৮৫ কিলোমিটার চলবে টয়োটা করোলা হাইব্রিড সিডান। এর সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৮০ কিলোমিটার।
প্রথম ৮ সেকেন্ডে এর গতিবেগ ওঠে ৯৫ কিলোমিটারের বেশি। মূলত ব্র্যান্ড ভ্যালুর সঙ্গে চাকচিক্য যোগ হয়ে চমৎকার আউটলুকে গাড়িটির দাম তুলনামূলক কম হওয়ায় এটি বিশ্বব্যাপী উচ্চ-মধ্যবিত্তের দৃষ্টি কেড়ে নিয়েছে।