Home জাতীয় আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৪

আওয়ামী লীগ ছাড়া নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না: ড. বদিউল

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর তাদের অনেকেই পালিয়ে গেছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কাউকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন হলে সে নির্বাচন অগ্রহণযোগ্য হবে না।’

তিনি বলেন, ‘আমি ডামি, একতরফা ও মধ্যরাতের নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ এ দেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করেছে। গত তিনটি নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, প্রশাসন, রিটার্নিং অফিসার, পোলিং অফিসারসহ নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত প্রায় সবাই অপরাধ কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। নির্বাচন কমিশন নির্বাচন ব্যবস্থাকে বিভিন্ন অজুহাতে দলীয়করণ করে সংবিধানের সুস্পষ্ট লংঘন করেছে। আদালতের নির্দেশ অমান্য করেছে। অতিউৎসাহী হয়ে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করেছে। তাই নির্বাচনি অপরাধে অভিযুক্ত সব ব্যক্তিদের বিচারের বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত।’

শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে ‘গণতন্ত্র সুরক্ষায় রাষ্ট্র মেরামত এবং জাতীয় নির্বাচন’ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে বদিউল আলম এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।

সুজন সম্পাদক বলেন, ‘বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার নয়, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছিল রুটিন সরকার।অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ১৫-১৬ বছরের জঞ্জাল দূর করতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তারপরেও জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত হলে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেতে পারে। ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়ে বিএনপিকে নির্বাচনের বাইরে রাখার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। নির্বাচনের জন্য সমতল ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে পারেনি। সে সময় উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে সরকারের রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্য কয়েকটি কথিত দলকে নিবন্ধন দিয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, ‘এদেশের মানুষ ভুলে যায়নি কিভাবে দিনের ভোট রাতে হয়েছিল। মৃত মানুষ ভোট দিয়েছে। বিদেশে অবস্থানরত ব্যক্তিরাও ভোট প্রদান করেছে। কোথাও কোথাও শতভাগ ভোট পড়েছে। শিশুরাও ভোট দিয়েছে। আমি আর ডামি প্রার্থীর নির্বাচন হয়েছিল। একই ব্যক্তি ভোট দিয়ে আবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দিয়েছে। বার বার ভোট দিয়েছে। ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ ছিল। ৮ থেকে ১০ শতাংশ ভোট পড়লেও ভোটের সংখ্যা বাড়িয়ে ৪০ থেকে ৪৫ শতাংশ দেখানো হয়েছিল।’

কিরণ আরও বলেন, ‘নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ব্যতীত রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের চাপ দিলে গণতন্ত্রের অভিযাত্রা ব্যহত হতে পারে। ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে যে বিজয় অর্জিত হয়েছে সে বিজয়ের সুফল ব্যহত হবে। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারসহ রাষ্ট্র সংস্কারে কাজ করতে প্রয়োজনীয় সময় দেওয়া উচিত। তবে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কারের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী জাতীয় নির্বাচন আয়োজন নিয়ে একটি গ্রহণযোগ্য রোডম্যাপ ঘোষণা করবে বলে সবার প্রত্যাশা।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *