বিডিআর হত্যাকাণ্ড পুনঃতদন্তে বিচারবিভাগীয় কমিশন চেয়ে আইনি নোটিশ
২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তৎকালীন বাংলাদেশ রাইফেলসের (বিডিআর) সদর দপ্তর পিলখানায় বিদ্রোহের সময় সেনা অফিসারদের হত্যার ঘটনা ফের তদন্তের জন্য বিচারবিভাগীয় কমিশন গঠন করতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ৯ জন আইনজীবী ও একজন ব্যবসায়ীর পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার এ নোটিশ পাঠান।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইজিপি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ডিজিকে ই-মেইলে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার ছাড়াও নোটিশদাতাদের মধ্যে রয়েছেন— ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), ব্যারিস্টার শেখ মঈনুল করিম, ব্যারিস্টার আহমেদ ফারজাদ, অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট মো. শাহেদ সিদ্দিকী, ব্যারিস্টার সলিম উল্লাহ, অ্যাডভোকেট লোকমান হাকিম, ব্যারিস্টার ও সলিসিটর মো. কাউসার ও ব্যবসায়ী মাহফুজুল ইসলাম।
আইনি নোটিশে বলা হয়, সম্প্রতি বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংবাদপত্র ও টেলিভিশনে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়েছে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা সঠিকভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা শাস্তির আওতায় আসেনি। অনেক নিরীহ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) জেনারেল মঈন উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিডিআর সদর দপ্তরের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত ঘটনা জনগণ জানতে পারেনি।
‘সেনা অফিসারদের জীবন রক্ষা করার দায়িত্ব ছিল নোটিশ গ্রহীতাদের। সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুযায়ী, এ দায়িত্ব রক্ষায় নোটিশ গ্রহীতা ব্যর্থ হয়েছে। তারা তাদের দায়িত্ব এড়াতে পারেন না।’
নোটিশের বিষয়ে ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার বলেন, বিডিআর বিদ্রাহের ঘটনাটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক। তাতে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য ওই ঘটনা সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করা হয়নি। ঘটনার সঙ্গে জড়িত মূল অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হয়নি। আবার অনেক নিরপরাধ মানুষকে শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা ফের তদন্তের জন্য বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও আহতদের ২ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।