পিসিবি থেকে বরখাস্ত হয়ে যা বললেন ওয়াহাব-রাজ্জাক
পাকিস্তানের বিশ্বকাপ ব্যর্থতার পর দলে বড় অস্ত্রোপচারের কথা বলেছিলেন পিসিবি প্রধান মহসিন নকভি। যার শুরুটা হলো নির্বাচক প্যানেলের দুই সদস্য ওয়াহাব রিয়াজ ও আব্দুল রাজ্জাককে বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে। তবে বিষয়টি সহজভাবে নিতে পারেননি কেউই। বরখাস্ত হওয়ার পর পিসিবির বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন দেশটির সাবেক দুই ক্রিকেটার।
বরখাস্ত হওয়ার জেরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওয়াহাব লিখেছেন, ‘আমি অনেক কিছুই বলতে পারি। তবে আমি কাঁদা ছোঁড়াছুঁড়ির অংশ হতে চাই না। পিসিবিতে নির্বাচক কমিটির সদস্য হিসেবে আমার সময় শেষ হয়েছে। আমি আমার ভক্তদের জানাতে চাই যে খেলাটি আমি পছন্দ করি, সেটা বিশ্বাস এবং ভরসার সঙ্গে পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য শতভাগ দিয়েছি।’
ভারতকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের কথা ভাবছে পাকিস্তান
পাকিস্তান ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করে ওয়াহাব বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেলে কাজ করা আমার জন্য সম্মানের। সাত সদস্যের এই নির্বাচক প্যানেলে সম্মিলিতভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা সম্মানের বিষয়। সবার ভোটকেই সেখানে সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। যারা আমার জন্য দোয়া করেছেন তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আমি পাকিস্তান ক্রিকেটের সুন্দর ভবিষ্যৎ কামনা করি।’
ওয়াহাব ও রাজ্জাক ছাড়াও নির্বাচক প্যানেলে ছিলেন আরও ৫ জন। তবে তাদের চাকরি যায়নি কারো। তারা হলেন হারুন রশিদ, শহিদ আফ্রিদি, ইনজামাম উল হক, মোহাম্মদ ওয়াসিম এবং মিসবাহ উল হক। মূলত, নির্বাচকরা ভোটাভোটির মাধ্যমে ক্রিকেটারদের দলে নির্বাচন করতেন। ৭ সদস্যের নির্বাচকদের সর্বোচ্চ ভোট প্রাপ্ত খেলোয়াড় জায়গা পেত পাকিস্তানের স্কোয়াডে।
তবে বাকি নির্বাচকরা এই নিয়মে টিকে গেলেও নিজের বাদ পড়া মানতে পারছেন না রাজ্জাক। পিসিবির এই ভোটাভোটির ভিত্তিতে ক্রিকেটার নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এক্সে রাজ্জাক লিখেছেন, ‘সবাইকে সমান ক্ষমতা দেওয়া হলে, কীভাবে একজনের ভোট বাছাই কমিটিতে অন্য ৬ জনকে পরাস্ত করতে পারে?’