জনগণের সম্মতি ছাড়া রেল চলাচলের চুক্তি সার্বভৌমত্ববিরোধী চক্রান্ত: এবি পার্টি
জনগণের সম্মতি ছাড়া একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের উপর দিয়ে অন্য একটি দেশের ট্রেন চলাচলের চুক্তিকে সার্বভৌমত্ববিরোধী চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র হিসেবে আখ্যা দিয়েছে আমার বাংলাদেশ পার্টি-এবি পার্টি।
একটি প্রহসনমূলক ভোটারবিহীন নির্বাচনে ভারতের অনৈতিক সমর্থনের কৃতজ্ঞতাস্বরূপ প্রতিদান হিসেবে গোপন প্রতিশ্রুতি মোতাবেক দাসখত লিখে দিতে সরকার ভারতের সঙ্গে অন্যায্য চুক্তি এবং সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে দলটি।
সোমবার এবি পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ অভিযোগ করেন এবি পার্টির নেতারা।
এবি পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদের সঞ্চালনায় ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন- দলের আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী, যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার ও অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতা লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম প্রমুখ।
দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের জনগণকে অন্ধকারে রেখে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে যে গণবিরোধী চুক্তি সরকার করেছে আমরা তার তীব্র নিন্দা জানাই। ভারতের সঙ্গে স্পর্শকাতর তথ্য বিনিময়ের যে চুক্তি হয়েছে সে সম্পর্কে জনগণকে অবহিত করতে হবে।
ভারতের সঙ্গে স্যাটেলাইট চুক্তির মাধ্যমে জননিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করে তাজুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়, বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষা হয়েছে কিনা নাগরিক হিসেবে আমরা সেটা জানতে চাই।
লে. কর্নেল (অব.) দিদারুল আলম বলেন, ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া ও ট্রেন চলাচলের সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কী লাভ বা স্বার্থ তা পরিষ্কার করতে হবে। নদীর পানিপ্রবাহের আন্তর্জাতিক আইন কখনই ভারত মানেনি। আমাদের নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আমাদের অধিকার। এ অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে এবি পার্টি আন্দোলন গড়ে তুলবে।
মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, এ সরকার ভারতের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে জনগণের সামনে গলা উঁচিয়ে কথা বলতে পারে না। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে ভারত বাংলাদেশ যত চুক্তি হয়েছে কোনটাই ভারত বাস্তবায়ন করেনি।
সভাপতির বক্তব্যে এএফএম সোলায়মান চৌধুরী বলেন, অনির্বাচিত সরকার যে অন্যায় চুক্তি করেছে আমরা সেজন্য ধিক্কার জানাই। বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করি। নিজেদের আত্মমর্যাদা স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে নিজেদের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করি।
ব্যারিস্টার ফুয়াদ বলেন, আমরা দিল্লিকে বলতে চাই- বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে একটি অবৈধ, অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে চুক্তি করে হয়তো সাময়িক সুবিধা নিতে পারবেন, কিন্তু দীর্ঘ মেয়াদে এ দেশের জনগণ এই অসম চুক্তি মেনে নেবে না।
সংবাদ ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন- এবি পার্টির যুগ্ম আহবায়ক বিএম নাজমুল হক, দফতর সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রানা, প্রচার সম্পাদক আনোয়ার সাদাত টুটুল, মহানগর উত্তরের আহবায়ক আলতাফ হোসাইন, সহকারী সদস্য সচিব শাহ আব্দুর রহমান, ছাত্রপক্ষের আহবায়ক মোহাম্মদ প্রিন্স, মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহবায়ক গাজী নাসির, উত্তরের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ কবির, সদস্য সচিব সেলিম খান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শাহীনুর আক্তার শীলা, রুনা হোসাইন, মশিউর রহমান মিলু, শরন চৌধুরীসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।