Home জাতীয় গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি: প্রধানমন্ত্রী
জুন ১, ২০২৪

গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন।

বৃহস্পতিবার পটুয়াখালীর কলাপাড়া পৌর শহরে সরকারি মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজ মাঠে ত্রাণ বিতরণের পরে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট, বাঁধ দ্রুত মেরামতে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করছে। ইতোমধ্যে যে সমস্ত রাস্তাঘাট ভেঙে গেছে, সেগুলো মেরামত করার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে বাঁধগুলো ভেঙে গেছে, সেগুলোও মেরামতের কাজ ইতোমধ্যে আমরা শুরু করে দিয়েছি। যাতে বর্ষার আগেই আমরা বাঁধগুলো নির্মাণ করে জলোচ্ছ্বাস বা পানির হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে পারি।

তিনি বলেন, ‘আমি সাইক্লোন শেল্টার করেছি, সেখানে মানুষ আশ্রয় পেয়েছে। যারা গৃহহীন, তাদের দুর্যোগ সহনীয় ঘর করে দিয়েছি। যে কারণে মানুষ অন্তত আশ্রয়ের জায়গা পেয়েছে। পশুপাখি আশ্রয়ের ব্যবস্থা পেয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা চাই দুর্যোগ থেকে এই এলাকার মানুষ যেন মুক্তি পায়। আমরা জানি, এই এলাকা সবসময়ই দুর্যোগপ্রবণ।’

শেখ হাসিনা বলেন, আজ ধারাবাহিকভাবে গণতন্ত্র আছে বলেই দুযোগ-দুর্বিপাকে মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি। মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নতি হয়। দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি আপনারা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ করে দিয়ে আপনাদের যোগাযোগের ব্যবস্থা… বিদ্যুতের ব্যবস্থা সব করে দিয়েছি।

ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোয় দলীয় নেতাকর্মীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের কর্মসূচি অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ মে রাত থেকে ২৭ মে শেষ রাত পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যায় ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর প্রভাবে ঝড়, বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে দেশের বিভিন্ন জেলার মতো উপকূলীয় জেলা পটুয়াখালীতেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

পটুয়াখালী জেলায় তিন লাখ ২৭ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং প্রায় ২৩৫টি বাড়ি সম্পূর্ণ এবং এক হাজার ৮৬৫টি আংশিকভাবে ধ্বংস হয়েছে। এ প্রাকৃতিক দুর্যোগে কৃষি খাতে ২৬ কোটি টাকা এবং মৎস্য খাতে ২৮ কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *