Home অপরাধ মাদক সম্রাট ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দুভাই ধরাছোঁয়ার বাইরে, দেখার কেউ নাই, অসহায় এলাকাবাসী থাকে আতঙ্কে
জানুয়ারি ১৫, ২০২৪

মাদক সম্রাট ইউপি চেয়ারম্যান ও তার দুভাই ধরাছোঁয়ার বাইরে, দেখার কেউ নাই, অসহায় এলাকাবাসী থাকে আতঙ্কে

বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি:

বাগেরহাট জেলার মোল্লাহাট উপজেলার ৪নং কুলিয়া ইউনিয়নের উত্তর কুলিয়া এবং এর পার্শ্ববর্তী গ্রামবাসী হাতজোড় পূর্বক অভিযোগ জানিয়েছে যে, মাদক (গাজা,ইয়াবা ইত্যাদি ) ব্যবসায়ী, মাদক কেনা বেচা, অত্যাচারী, সন্ত্রাসী এবং জুয়ার বোর্ড ইত্যাদি খারাপ কাজ পরিচালনা কারীদের হাতে থেকে আমাদের সমাজকে রক্ষা করার জন্য সহযোগিতা করুন৷ এলাকায় মাদক ব্যবসা, মাদক বেচা-কেনার এবং অন্যায় অত্যাচার সংগঠিত হওয়ার কারণে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে৷ এর ফলে আমাদের কোমলমনা সন্তানেরা মাদক ব্যবসার এই নষ্ট পরিবেশে পড়ে অল্প টাকার লোভে মাদক বেচা-কেনা এবং ধীরে ধীরে মাদক সেবনে অভ্যস্ত হয়ে যাচ্ছে৷ এলাকার উঠতি বয়সের ছেলেরা স্কুল কলেজে যাওয়া এবং পড়া-লেখা বাদ দিয়ে নষ্ট পথে বিপদগামী হচ্ছে৷ মাদকের এই ভয়াল থাবা থেকে আমাদের এই ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য পুনরায় হাতজোড় পূর্বক সাহায্য প্রার্থনা করেছেন৷ এলাকার মেম্বার এবং চেয়ারম্যানকে, বারবার লিখিত এবং মৌখিক ভাবে এলাকার গন্যমান্য লোকজন এবিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বললেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি৷ কারন মিজান চেয়ারম্যানের আপন দুই ভাই এবং ছিকু মেম্বরের ছেলে, ভাতিজা সহ তাদের সহযোগীরা এই মাদক ব্যবসা এবং জুয়ার ব্যবসা পরিচালনা করে৷ এদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য অনেক ফৌজদারি মামলা রয়েছে৷ এদের এই মাদক ব্যবসা জুয়ার টাকার গরমে এলাকার নিরীহ মানুষদের উপর মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করে৷ মাদক কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করে এলাকাতে বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে ঝগড়া মারামারি হয়ে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পরেছে৷ এছাড়াও মাদক সেবনেকারী মাদকের টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চুরি, ছিনতাই সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে৷ এদের এই মাদক ব্যবসা এবং অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তার ঘরের মধ্যে মাদক দি ধরিয়ে দেওয়ার হুমকি দেয় এবং অনেককে ধরিয়ে দিয়েছে৷ যেমন : বাবুল, লিঠু মিয়াকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছে৷ চেয়ারম্যান ও মেম্বরের মাদক ব্যবসা ও অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে কথা বললে তাকে হাত পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়৷ যেমন, হুমকি দিয়েছে এবং মারধর করেছে বাবুল, উজির, আবজাল, ওয়ালিদ, রহিম এদেরকে৷ এদের অন্যায় অপরাধের বিরুদ্ধে মামলা করার কারনে শওকত বিশ্বাসের পা কেটে ফেলে এবং এরা প্রত্যেকে জেল খাটে৷ এরা সমাজে গ্রাম্য সালিসি করতে গিয়ে টাকা খেয়ে অন্যায়কারীর পক্ষ অবলম্বন করে৷ এই অশিক্ষিত চেয়ারম্যান, মেম্বার এবং তাদের সহযোগীরা সমাজের কোন ব্যক্তিকে সম্মানতো করেইনা বরং সমাজের শিক্ষিত সম্মানিত ব্যক্তিদেরকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পন্থায় মানহানি করে৷

এমতাবস্থায় উত্তর কুলিয়া গ্রাম এবং পাশ্ববর্তী গ্রামের শিশু কিশোরদের তথা সকল পরিবারের সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে উল্লেখিত মাদক, অত্যাচারী এবং জুয়া ব্যবসায়ীদের গডফাদার মিজান চেয়ারম্যান ও ছিকু মেম্বারের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করে এলাকার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা অতিসত্বর৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *