তাড়াশে কাঁটাতারের বেড়ায় আবদ্ধ ১০টি পরিবার
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি :
প্রায় এক মাস ধরে সিরাজগঞ্জ তাড়াশে যাতায়াতের রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ায় আবদ্ধ হয়ে পড়েছে একই গ্রামের প্রায় দশটি পরিবার।ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের রংমহলের পশ্চিম পুকুর পাড়ায়।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রংমহলের পশ্চিম পুকুর পাড়ায় দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে ওই ১০টি পরিবার প্রতিদিন চলাচল করে আসছে। কিন্তু সম্প্রতি এ রাস্তাটির ব্যক্তিমালিকানা দাবী করে রাস্তাটি তাঁরকাটার বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন ওই গ্রামের মৃত ছায়দার সরদাররে ছেলে মো. জিয়াউর সরদার।
এ দিকে যাতায়াতের রাস্তা অবমুক্ত করে দেওয়ার জন্য গত ১৮ ডিসেম্বর-২০২৩ ইং তারিখে তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন আবদ্ধ ওই পরিবারের সদস্যরা।
তবে প্রায় এক মাস হলো কোন প্রতিকার না পেয়ে ওই দশটি পরিবার এখন আবদ্ধ অবস্থায় মানবতার জীবন যাপন করছেন।
আর এ ঘটনায় তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী অফিসার গত ১৮ ডিসেম্বর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তোভোগী মো. হাফিজুর রহমান, আমজাদ আলী প্রামাণিক ও মো. আলহাজ মোল্লা।
তাঁরা জানিয়েছেন, আমাদের বাপেরা এবং আমাদের জন্ম পর থেকে এ রাস্তা দিয়ে এ পাড়ার ১০টি পরিবার চলাচল করে আসছিল। সম্প্রতি রাস্তার ব্যক্তিমালিকানা দাবি করে তাঁরকাটার বেড়া দিয়ে বন্ধ করে দেন জিয়াউর সরদার। এরপর থেকে এক মাস ধরে পরিবার গুলো অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছি।
রাস্তাটির ব্যক্তিমালিকানা দাবী করে মো. জিয়াউর সরদার বলেন, লোকজন চলাফেরা করায় আমাদের নানা সমস্যা হচ্ছে। তাই তাঁরকাটা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি।
তবে বিষয়টি জানেন না নওগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মজনু। তিনি জানিয়েছেন, কেউ জানালে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোন ভাবেই মানুষের চলাফেরা রাস্তা বন্ধ করা যাবে না।
এ প্রসঙ্গ তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, উনারা যে অভিযোগ করেছেন সেই চিঠিটা আমি এখনও পাইনি। আমি অভিযোগটা দেখে তারপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে কোন ব্যক্তির বাড়ি থেকে বের হওয়ার রাস্তা আটকাতে পারবে না। আটকানোর কোন নিয়ম নাই।