চীন যাচ্ছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা, ‘এজেন্ডায়’ কী থাকছে?
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী ২০ জানুয়ারি দেশটিতে সফরে যাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা জানান।
চীন সফর নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আমন্ত্রণে আগামী ২০ জানুয়ারি দেশটি সফরে যাচ্ছি। ঢাকা-বেইজিং দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পাবে। এ সময় দেশটি থেকে নেওয়া সুদহার ও পরিশোধের সময় ৩০ বছর করার অনুরোধ জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনে ঢাকা-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের মধ্যে প্রভাব পড়বে না বলে মন্তব্য করেন তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সরকার পরিবর্তনের প্রভাব দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে পড়বে না। যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও ভারতের স্বার্থেই দেশগুলোর সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রাখতে চায় বাংলাদেশ।
তিস্তা প্রকল্প প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়নে চীন সম্পৃক্ত হতে চেয়েছিল। বিগত সরকার বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এই সফরে তা নিয়ে আলোচনা হবে। নিজেদের স্বার্থ বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সফরে নদী ব্যবস্থাপনা নিয়ে দেশটির সঙ্গে সমঝোতার মেয়াদ নবায়ন করার কথাও জানান তৌহিদ হোসেন।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি সাপ্তাহিক প্রেস ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টার এই সফরকে ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ’ বলে দাবি করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ও জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম।তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় ও গভীর করার লক্ষ্যে এ সফর একটি বড় সুযোগ।’
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ২০ জানুয়ারি থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনের সফরে বেইজিং যাচ্ছেন জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, ‘এই সফরকালে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে এক দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিলিত হবেন। বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা হবে।’
এই সফরের ‘এজেন্ডায়’ কী থাকছে- সে বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, ‘এই সফরে বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়নকল্পে দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ, কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহযোগিতা, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধান।’ তবে ‘এজেন্ডায়’ সংযোজন ও বিয়োজন হতে পারে বলেও সেদিন জানান তিনি।