Home সারাদেশ নিরবচ্ছিন্ন নাগরিক সেবা দিয়ে তীব্র কনকনে শীতের রাতেও ঘুরে ঘুরে কম্বল,খাবার নিয়ে অসহায়দের বাড়িতে হাজির ইউএনও।
1 week ago

নিরবচ্ছিন্ন নাগরিক সেবা দিয়ে তীব্র কনকনে শীতের রাতেও ঘুরে ঘুরে কম্বল,খাবার নিয়ে অসহায়দের বাড়িতে হাজির ইউএনও।

বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নলছিটি প্রতিনিধি :

প্রতি নিয়ত অসহায়দের পাসে দাঁড়িয়ে দিনে দিনে মানুষের মন জয় করে চলেছেন ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো নজরুল ইসলাম।নাগরিকদের সেবায় অফিস করছেন সরকারি ছুটির দিন শুক্র শনিবারও।অনেক সময়ই দেখা যায় প্রতিদিনের মতো শুক্র বা শনিবারেও রাত দশটার পরেও অনেকেই হাজির হন কোনো কাগজ সত্যায়ন করতে,কিংবা জন্ম নিবন্ধন আবেদন নিয়ে।হাসিমুখে তাদের কাজগুলো করেও দেন তিনি।স্থানীয় একজন সেবা গ্রহিতা আ:কাদের হঠাৎ রাত দশটার পরে হাজির তার কাগজপত্র সত্যায়িত করার জন্য, পরের দিন সকালেই তাকে ঢাকা যেতে হবে।তাকে বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হয়েছিলো এতো রাতে বুঝলেন কিভাবে যে ইউএনও অফিসে আছেন,মুচকি হেসে তিনি বললেন নলছিটির সবাই এখন জানে ইউএনওকে মোটামুটি ২৪ ঘন্টাই পাওয়া যায়।
দাপ্তরিক কাজের বাইরেও নিয়মিত রাস্তাঘাট পরিদর্শন সহ অনেক সরকারি সহায়তা নিজেই গিয়ে পৌঁছে দেন উপকারভোগীদের কাছে।তেমনই গত শুক্র, শনিবারেও দেখা গেলো কনকনে শীতের রাতেও বাকি সব সময়ের মতো প্রকৃত অসহায়দের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছে দিচ্ছেন শীত বস্ত্র।এমনকি দাপ্তরিক নিয়মে যেই স্বাক্ষর অফিসে গিয়ে দিয়ে আসার কথা উপকারভোগীদের সেটিও তিনি নিয়ে এসেছেন সাথে করে যাতে দরিদ্র এই মানুষগুলো কস্ট করে অর্থ খরচ করে তার কাছে যেতে না হয়।
০৪ জানুয়ারি শনিবার রাতে ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত সরকারি জামুরা আশ্রয়ন প্রকল্পে সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো নজরুল ইসলাম তার কার্যালয়ের স্টাফদের নিয়ে নিজেই গিয়ে হাজির।
তার এমন নিয়মিত মানবিক কাজ এখন নলছিটির অবহেলিত জনগোষ্ঠীর কাছে তাকে ব্যাপক জনবান্ধব কর্মকর্তা হিসেবে খ্যাতি এনে দিয়েছে।কিন্তু তাতেও কিছু অসাধু ব্যক্তির গা জ্বালা করছে।যেহেতু দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের মাধ্যমে ফাও খাওয়ার চর্চা বন্ধ হয়ে গেছে সেহেতু এখন তাদের অন্তর জ্বালা বেড়েছে বলেই ইউএনওর পেছনে লেগে আছেন বলে মন্তব্য করেছেন সুশিল সমাজের প্রতিনিধিরা।
স্থানীয় সুশিল সমাজের প্রতিনিধি সমাজকর্মী বালী তূর্য বলেন,এটি কোনোভাবেই একজন সরকারি কর্মকর্তার জব রেস্পন্সিবলিটি নয়,তিনি চাইলেই এখন স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে বিশ্রাম করতে পারতেন।কিন্তু তা না করে সারাদিন কাজের পরেও শীত বস্ত্র নিয়ে এসেছেন।এর আগেও শুনেছি তিনি সরকারি অনেক সহায়তা সরাসরি নিজেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্টন করছেন।এই কাজগুলো তার মানবিক কাজ।মাঠ প্রশাসনে এরকম আরও ভালো অনেক অফিসার আছেন এখনো।তাদেরকে অনুপ্রেরণা দেয়াটা সিভিলিয়ান হিসেবে আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।তারপরেও অনেকেই সুশিক্ষার অভাবে কিংবা নিজের ভাগ না পেলেই বিলাই ব্যাজার হয়ে থাকে।তাতে খুব বেশি কিছু অবশ্য আসে যায় না,ভালো কাজ অব্যহত রাখা উচিৎ আল্লাহর জন্য বলেও জানান তিনি।এছাড়াও শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞ্যাপন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং তার স্টাফদের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *