১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাতিলের দাবি
বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের উদ্যোগে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস এর জাতিসংঘে দেওয়া বক্তব্যের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, তিনি পার্বত্য অঞ্চলের শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘে জোরাল বক্তব্য প্রদান করেছেন। এর আগে এমন সাহসী বক্তব্য বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্রপ্রধান দিতে পারেননি।
শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তার যোগ্য নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। পার্বত্য চট্টগ্রামসহ বন্দরনগরী চট্টগ্রাম হুমকির মুখে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের উপদেষ্টাগণ যেন এ বিষয়ে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
ভারতের সঙ্গে করা দেশবিরোধী সকল অবৈধ চুক্তি বাতিলের পাশাপাশি ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম কালো চুক্তি বাতিল করার দাবি জানান।
এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রামের শান্তি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে প্রত্যাহারকৃত ২৪১টি সেনা ক্যাম্প পুনঃস্থাপন করা খুবই জরুরি বলে উল্লেখ করেন।
বৈষম্যবিরোধী পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐক্য পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক তৌহিদ আজাদের পরিচালনা ও পার্বত্য চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এডভোকেট এয়াকুব আলী চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য, সাবেক হুইপ, সাবেক এমপি চট্টগ্রাম মহানগর জামায়াতের আমীর আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক বিশিষ্ট শিক্ষাবীদ অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক সৈয়দ আব্দুল মোমেন, বান্দরবান জেলা জামায়াতের আমির এস. এম আব্দুস সালাম আজাদ, আইআইইউটি ঢাকা’র অধ্যাপক ড. আমান উদ্দিন মুজাহিদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শহিদুল ইসলাম।
মতবিনিময় সভায় অন্যান্য অতিথিবৃন্দ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার সমাধান করতে অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। একই সঙ্গে ল্যান্ড কমিশন, ১৯০০ সালের পার্বত্য আইন, সকলের জন্য সর্বস্তরে সমহারে কোটা স্থাপন, শিক্ষা ক্ষেত্রে উন্নয়ন, পার্বত্য অঞ্চলকে পর্যটন অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলা, রাবার শিল্পকে কৃষি শিল্প হিসেবে উন্নত করা, গুরুত্বপূর্ণ সীমান্ত এলাকায় বন্দর স্থাপন করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্ব আদায় করা সম্ভব বলে জানান।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম আইনজীবী ফোরাম আহ্বায়ক এডভোকেট ইব্রাহিম মুজাহিদ, চট্টগ্রাম বিষয়ক গবেষক এ এইচ এম ফারুক, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এডভোকেট ইব্রাহিম মনির, পিএইচডি গবেষক জাকির হোসেন, পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুক সুজন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পাদক মো. সাইদুল ইসলাম পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদেকুর রহমান পার্বত্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন ফরায়েজি সাকিব, সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোমেন, পার্বত্য আইনজীবী ফোরামের নেতা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের্র আইনজীবী এডভোকেট সোরোয়ার হোসেন, এডভোকেট দেলোয়ার হোসাইন, সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-দফতর সম্পাদক আবু বকর ছিদ্দিক, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল মালেক, ছাত্র নেতা আব্দুল গফুর প্রমুখ।