নলছিটির কুমারখালি মরা নদীতে অবৈধ বাধ পরিদর্শনে ইউএনও, বাধ অপসারণের নির্দেশ।
বালী তাইফুর রহমান তূর্য, নলছিটি প্রতিনিধি :
ঝালকাঠির নলছিটির কুমারখালি মরা নদীতে অবৈধভাবে দেয়া বাধগুলো সরেজমিনে পরিদর্শনে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মো নজরুল ইসলাম।২৯ নভেম্বর শুক্রবার সকালে কৃষি কর্মকর্তাকে নিয়ে পরিদর্শনে যান তিনি।মরা নদীতে বাধ অপসারণের দাবি জানিয়ে এর আগে দুই দফা মানববন্ধন করে এলাকাবাসী।তাদের দাবি বাধের কারনে কৃষি জমি অনাবাদি হয়ে পরছে এবং দৈনন্দিন কাজের ব্যবহারে পানি পাওয়া যাচ্ছে না।
এসময় সেখানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি দপ্তরের প্রতিনিধি অহিদুল ইসলাম,সমাজকর্মী এবং সংবাদকর্মী সহ স্থানীয়রা।
এছাড়াও বাধ পরিদর্শনের খবর পেয়ে ছুটে আসেন বাধের কারনে দূর্ভোগ পোহানো স্থানীয় ভুক্তভোগীরা।তারা অনতিবিলম্ব বাধ অপসারণের দাবি জানান এবং জেলেদের নামে করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারেরও দাবি জানান।
এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে শান্ত করে আস্বস্ত করেন যে কৃষি বিনস্ট হয় এরকম কোনো কাজ করতে দেয়া হবে না।পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী পানি চলাচলের স্বাভাবিক পথ উন্মুক্ত রাখতে হবে।ইতোপূর্বে ঝালকাঠি জেলা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ২৬ নভেম্বরের মধ্যে লিজ গ্রহীতাদেরকে পানি চলাচলের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা বাধ অপসারণের নির্দেশ দেয়া হলেও তা মানে নি লিজ গ্রহিতারা।এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাদেরকে দ্রুত বাধ অপসারণ করতে বলেন এবং লিজের কাগজ অনুযায়ী জমি পরিমাপেরও নির্দেশনা দিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে বলেন।
একটি পক্ষ দীর্ঘদিন যাবত ১১৯ একর জলাভভূমি লিজ নিয়ে অবৈধভাবে প্রায় ৩২০ একর জমি জবরদখল করে ভোগ করছে বলে অভিযোগ রয়েছে এখানে।